দাউদাউ করে জ্বলল ট্রেনের দু’টি কামরা, মৃত্যু ১ যাত্রীর

২৯ ডিসেম্বর : টাটানগর-এর্নাকুলাম সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ড। সোমবার ভোরে অন্ধ্রপ্রদেশের ইয়েলামাঞ্চিলি স্টেশনের কাছে ট্রেনের দু’টি কামরায় আগুন ধরে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এখনও পর্যন্ত একজন বৃদ্ধ যাত্রীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে পুলিশ। তবে রেলের তরফে হতাহতের বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। আগুন কী ভাবে লাগল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ

রেল ও পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘড়িতে তখন রাত পৌনে একটা। ট্রেনটি যখন ইয়েলামাঞ্চিলি স্টেশনে প্রবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তেই বি–১ (B-1) এবং এম–২ (M-2) কামরা থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখতে পান যাত্রীরা। চোখের নিমেষে ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা দু’টি এবং দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন যাত্রীরা পোড়া গন্ধে সজাগ হয়ে দেখেন আগুনের লেলিহান শিখা তাদের গ্রাস করতে আসছে। প্রাণ বাঁচাতে যাত্রীরা আর্তচিৎকার শুরু করেন এবং ট্রেনের চেইন টেনে থামানোর চেষ্টা করা হয়।

রেলওয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময় বি-১ কামরায় ৮২ জন এবং এম-২ কামরায় ৭৬ জন যাত্রী ছিলেন। মাঝরাতের ওই অন্ধকার পরিস্থিতিতে কামরার সংকীর্ণ জায়গায় যাত্রীরা প্রাণ বাঁচাতে একে অপরের ওপর দিয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং দমকল। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। আনাকাপল্লির এসপি তুহিন সিনহা জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দেন চালক। দুই কামরার যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে বি–১ বগির এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম চন্দ্রশেখর সুন্দরম (৭০)।

দীর্ঘ সময়ের লড়াইয়ের পর দমকলের ইঞ্জিনগুলি আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে বি-১ এবং এম-২ কামরা দুটি কার্যত কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলাকালীন পুলিশ এক যাত্রীর ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার করে। ট্রেনের বাকি কামরাগুলো দ্রুত বিচ্ছিন্ন করে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়ায় বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *