চাঁদের মাটিতে পা রাখল চন্দ্রযান-৩, ইতিহাস গড়ল ভারত
২৩ আগস্ট : ইতিহাস তৈরি করল ভারত। মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় জুড়ে দিল। চাঁদের মাটিতে পা রাখল ভারতের চন্দ্রযান-৩। লম্বা প্রস্তুতি শেষে গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান লঞ্চিং প্যাড থেকে সফল হয়েছিল চন্দ্রযান -৩ এর উৎক্ষেপণ। সেদিন থেকেই দিন গুনছে গোটা দেশ। অপেক্ষা করছে গোটা বিশ্ব। আজ সকাল থেকেই সেই উদ্বেগ আর অপেক্ষা বেড়েছিল কয়েকগুণ। বুধবার ভোর থেকেই দেশবাসী মগ্ন প্রার্থনায়। কোথাও হয়েছে হোম যজ্ঞ, কোথাও বিশেষ নামাজের আয়োজন, কোথাও গঙ্গারতি, কথাও ভস্ম আরতির আয়োজন করেছিলেন সাধারণ মানুষ। সকলেই প্রার্থনা করেছেন সফলতার।
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চন্দ্রযানের সরাসরি সম্প্রচারে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিকে দেশবাসীর উৎকণ্ঠা, অন্যদিকে শেষ ১৫ মিনিটের কঠিন অবতরণ পর্ব। চন্দ্রযান ২এর পরিণতির কথা মাথায় রেখেই এই শেষ ১৫ মিনিটে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। তবে পরিকল্পনা মতোই মসৃণ ভাবে শেষ ১৫ মিনিট অতিক্রম করেছে ল্যান্ডার বিক্রম। ৫.৪৫ থেকে শুরু হয়েছিল অবতরণের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া। প্রথম ধাপে ৩৫৮ মিটার প্রতি সেকেন্ড গতিতে বিক্রমকে নামানো হয় ৭.৪ কিলোমিটার উচ্চতায়। দ্বিতীয় ধাপে গতি কমে আরও। ওই পর্যায়ে বিক্রম নামে আরও কিছুটা। কয়েকটি ধাপে পেরিয়ে একেবারে শেষ পর্যায়ে ধীর থেকে অতিধীর গতিতে চাঁদের মাটিতে পা রাখল সে। অবতরণের শেষ মুহূর্তে তার গতি ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১.৬৮ কিলোমিটার। পূর্ব পরিকল্পনা মতোই ৬…. মিনিটে চাঁদের মাটিতে পা রাখল ভারতের চন্দ্রযান-৩। বিশ্বে ইতিহাস তৈরি করল ভারত। ভারত হল প্রথম দেশ, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে যার মহাকাশযানের সফট ল্যান্ডিং হল। এর আগে কোনও মহাকাশযান সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পারেনি। তাই ওই অংশ নিয়ে কৌতূহল এত বেশি। একেবারে অজানা জায়গা হওয়ার কারণে বিক্রমের অবতরণও ছিল যথেষ্ট কঠিন। সফলভাবে অবতরণের পর সেখানে কী আছে, আর কী নেই তার খোঁজ এবার নেবে ভারতের চন্দ্রযান। অন্যদিকে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরেই চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে জায়গা করে নিল ভারত।
সূত্র : আজকাল in.
