বরাগাঁও শহিদ স্মারকক্ষেত্রে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর

বরাক তরঙ্গ, ২১ ডিসেম্বর : রবিবার বরাগাঁও শহিদ স্মারকক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অসম আন্দোলনের জাতীয় শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি শহিদ স্মারকক্ষেত্র পরিদর্শন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০ জন শিল্পী সুধাকণ্ঠ ভূপেন হাজরিকার অমর সৃষ্টি ‘শহিদ প্ৰণামো তোমাক’ গানটি পরিবেশন করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদির আগমনের পূর্বেই শহিদ স্মারকক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালও স্মারকক্ষেত্রে উপস্থিত ছিলেন।
শহিদ স্মারকক্ষেত্রে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং অসম চুক্তি বাস্তবায়ন দফতরের মন্ত্রী অতুল বরাও।

আজ অসমে প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের দ্বিতীয় দিন। আজ সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় প্রধানমন্ত্রীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠান। ব্রহ্মপুত্রের বুকে ‘চরাইদেউ’ জাহাজে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের নির্বাচিত ২৫ জন শিক্ষার্থী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
গুয়াহাটি প্রবেশদ্বার থেকে ‘চরাইদেউ’ জাহাজে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। শিক্ষার্থীদের উপর ক্রমবর্ধমান পড়াশোনার চাপ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখে চাপমুক্তভাবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিতেই ২০১৮ সাল থেকে সময়ে সময়ে এই ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নির্বাচিত মেধাবী শিক্ষার্থীরা অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়।

অসমে এই প্রথম ব্রহ্মপুত্রের বুকে চলন্ত জাহাজে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই কর্মসূচির আওতায় রাজ্যের ১২টি জেলার ২৫ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই ২৫ জন শিক্ষার্থীকে আগেই অসম সরকারের বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর নির্বাচন করেছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কীভাবে আলোচনা করবেন এবং কীভাবে প্রশ্ন করবেন, সে বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।

শহিদ স্মারকক্ষেত্রে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি বরঝার থেকে বিশেষ বিমানে ডিব্রুগড়ের উদ্দেশে রওনা হন। ডিব্রুগড় থেকে হেলিকপ্টারে তিনি নামরূপ যাবেন। সেখানে নামরূপ সার কারখানার ভূমি পূজন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি সার কারখানার একটি নতুন ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে ১২.৭ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করা হবে। এরপর হাপজান মাঠে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি ডিব্রুগড়ে ফিরে যাবেন এবং ডিব্রুগড় বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *