এম লস্কর, পাঁচগ্রাম।
বরাক তরঙ্গ, ১৫ ডিসেম্বর : জনগণের আওয়াজকে তোয়াক্কা না করে টিকিট বণ্টন করলে ফের ধরাশায়ী হবেন প্রার্থী। সোমবার দুপুরে তাপাং চিবিটাবিচিয়ায় প্রাক্তন বিধায়ক কিশোর নাথের সমর্থকরা একসভায় মিলিত হয়ে এমন মন্তব্য করলেন৷ সভায় শ্রবণকুমার গোয়ালা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, কিছু সুযোগ সন্ধানী নেতারা এবছর ও টিকিট বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁরা জেনেও প্রাক্তন বিধায়ক কিশোর নাথের জনপ্রিয়তাকে আড়াল করছেন। কিশোর নাথের বড়খলার চতুর্দিকে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। অনেক লোক দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কিশোর নাথকে আগামী ২৬শে বিজেপি দলের প্রার্থী হিসেবে চাইছেন। কারণ কিশোর নাথের অনেকটা অবদান রয়েছে। বিগত তার বিধায়ক কার্যকালে অনেক জনমুখী কাজ করেছেন কিশোর নাথ। যার জন্য আর্থিক, সামাজিক ও ব্যবসায়ীক মুনাফা লাভ করেছেন বড়খলার জনগণ। বিশেষ করে কিশোর নাথের নিজের নামে এক সেতু উদ্বোধন করে মানুষের অনেক জমি জায়গার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সর্বশ্রেণির মানুষের সঙ্গে তার মিলামিশা, আত্মীয়তা ও সুসম্পর্ক রয়েছে। শ্রীকোণাস্থিত মিনি সচিবালয় স্থাপনে ও কিশোর নাথের অবদান রয়েছে। একাংশ মুসলিম লোকেরা তার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে আসছেন। সবমিলিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক কিশোর নাথের বিজেপি দলের প্রার্থীত্ব লাভ করলে তার জয় নিশ্চিত। কেউ আটকাতে পারবে না বলে চিবিটাবিচিয়ার সভায় একবাক্যে তার সমর্থকরা আওয়াজ তোলেন। কিশোর নাথ একজন উন্নয়নের ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে আছেন মানুষের মনে। কিন্তু কিশোর নাথ কে উপেক্ষা করে টিকিট বাইপাস করে অন্য কাউকে টিকিট দেওয়া হলে পরিনাম আগের মতো থাকবে।
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন ইন্দ্রগড় জিপির প্রাক্তন জিপি সভাপতি কাজল রায়, প্রাক্তন শিক্ষক জয়াদ্রুত গোয়ালা, কাছাড় জেলার চা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সেউ সাগর গোড়, বিজেপি অসম প্রদেশ রাজ্য তফসিলি জাতির কার্যনির্বাহী সদস্য সনিলাল দাস, হরকুমার দাস, মন্টু লাল দাস,গনেশ দাস সহ অসংখ্য কর্মী – সমর্থকদের বিশাল উপস্থিতিতি পরিলক্ষিত হয়।


