বরাক তরঙ্গ, ১১ ডিসেম্বর : রাজ্যে দিন দিন বেড়ে চলেছে নারী–সংক্রান্ত অপরাধ। সম্প্রতি আবারও বিহালি থেকে সামনে এসেছে এক কিশোরীর ওপর সংঘটিত নৃশংস ঘটনার তথ্য। জানা গেছে, ১৫ বছরের ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ার পরই পুরো ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ, এক ইটভাটার মালিক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের শিকার করেছিলেন। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে আজ পুলিশ এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত, পঞ্চাশোর্ধ্ব মহম্মদ আলিকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি নিয়ে বর্তমানে পুলিশের তদন্ত চলছে।
তথ্য অনুযায়ী, বিহালির বরগাং থানার অন্তর্গত মরান গ্রামের ওই ১৫ বছরের কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এরপর গত ৫ ডিসেম্বর কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। প্রথমদিকে সন্দেহ করা হয়েছিল যে কিশোরীর প্রেমিক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত; তবে পরে অন্য এক তথ্য সামনে আসে। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ জানায় যে ইটভাটার মালিক মহম্মদ আলি দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এর ফলেই কিশোরীটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানার পর আলি কিশোরীর মাকে নানা ধরনের প্রলোভন দিতে শুরু করে এবং কিশোরীর প্রেমিককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে ঘটনার দায় তার ওপর চাপানোর পরামর্শ দেয়। সেই অনুযায়ী কিশোরীর মা প্রথমে প্রেমিককে জড়ানোর চেষ্টা করেন, যদিও শেষমেশ পুরো ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। প্রথমে পুলিশ কিশোরীর প্রেমিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু পরে তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে এই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রকারী মহম্মদ আলিই। এরপর আজ পুলিশ আলিকে গ্রেফতার করে। তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গর্ভবতী নাবালিকাটি সিডব্লিউসি–র তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
পুরো ঘটনাটি এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও তথ্য সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, এই ঘটনায় দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে সারা অসম আদিবাসী ছাত্র সংস্থা।


