মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৯ ডিসেম্বর : গোটা রাজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মঙ্গলবার পাথারকান্দি বিধানসভায়ও দেখা গেল এক উৎসবমুখর পরিবেশ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অনুমোদনপত্র হাতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ভরপুর হয়ে উঠলেন হাজারো হিতাধিকারী। পাথারকান্দি বিধায়ক তথা রাজ্যের মীন, পশুপালন ভেটেনারি ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল এদিন সকালে সরকারি কর্মসূচি অনুযায়ী সরাসরি গুয়াহাটি থেকে ছুটে আসেন নিজ নির্বাচনীয় কেন্দ্রের বাজারিছড়া।সেখানে রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত বিশাল অনুষ্ঠানে তিনি মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
অনুষ্ঠানে পাথারকান্দি ব্লকের ২,৭০৬ জন ও লোয়ারপোয়া ব্লকের ১,৪৯০ জন, অর্থাৎ মোট ৪,২২৬ জন হিতাধিকারীর হাতে আবাস যোজনার অনুমোদনপত্র তুলে দেন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল। হিতাধিকারীদের হাতে চিঠি তুলে দেওয়ার সময় প্রেক্ষাগৃহ জুড়ে বারবার করতালির ধ্বনি ধ্বনিত হয়।মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল তাঁর বক্তৃতায় বলেন, আজ গোটা অসমে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ২৩৮ জন হিতাধিকারীর হাতে আবাস যোজনার অনুমোদনপত্র প্রদান করছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সবার জন্য ঘর—এই স্বপ্ন পূরণে মুখ্যমন্ত্রীর এই বিশাল উদ্যোগকে আমরা কুর্নিশ জানাই।তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশজুড়ে আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তার সুফল আজ সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন। মন্ত্রী আরও স্পষ্ট করেন যে এই প্রকল্পে মধ্যস্বত্বভোগীদের কোনো স্থান নেই এবং কোনো ধরনের দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। প্রকৃত হিতাধিকারীকে যেন বঞ্চিত না হতে হয়, সে বিষয়ে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল জানিয়ে বলেন, এবার হিতাধিকারীরা নিজেদের ঘরের জিও-ট্যাগিং নিজেরাই করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রীর নতুন প্রযুক্তিগত সুবিধার জন্য এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে আরও স্বচ্ছ ও সহজ।অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, আজ পাথারকান্দি থেকে গোটা অসমে এক নতুন উৎসাহের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির অনুমোদনপত্র আমরা বিধানসভা পর্যায়ে মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছি এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। তিনি এ-ও জানান যে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বহু পরিবার তাদের স্বপ্নের বাড়ি গড়ে তোলার সুযোগ পাবে। সাধারণ মানুষের জীবনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অনিলকুমার ত্রিপাঠি, সার্কল অফিসার অদিতি নুনিসা পাথারকান্দি বিডিও অজয় খার্গি লোয়ারপোয়া বিডিও যুগান্তর কোহর উভয় মণ্ডলের সভাপতি বিভিন্ন স্তরের পঞ্চায়েত প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাঁদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানে আরও মর্যাদা যোগ করে।


