প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বরাকের উন্নয়ন সম্পর্কে আলোচনা কণাদের

বরাক তরঙ্গ, ৮ ডিসেম্বর : সোমবার, নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যসভার সদস্য কণাদ পুরকায়স্থ। সংসদ ভবনের প্রধানমন্ত্রী কক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে বরাক উপত্যকার সামগ্রিক উন্নয়ন সম্পর্কে আলোচনা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বরাক উপত্যকায় একটি ভারীশিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, লঙ্কা-ময়নারবন্দ নয়া রেলপথ এবং বরাকে এইমস বা সমপর্যায়ের একটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার আর্জি জানান সাংসদ কণাদ। তাঁর সঙ্গে এই কথোপকথনে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন কথাপ্রসঙ্গে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়ে তাঁর সঙ্গে বিগত দিনে সাংগঠনিক স্তরে দীর্ঘদিন কাজ করার স্মৃতিও রোমন্থন করেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান সাংসদ কণাদ। প্রত্যাশিতভাবেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বরাক উপত্যকার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয় তাঁর।বিশেষ করে বরাক উপত্যকায় ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে গুরুত্ব আরোপ করেন সাংসদ কণাদ। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে  আর্জি জানিয়েছেন সাংসদ। তিনি বলেন, আগে বরাক উপত্যকার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ছিল পাঁচগ্রামের কাছাড় কাগজ কল। সেই শিল্প প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ। এমনই একটি নতুন ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বরাক উপত্যকায় নতুন দ্বার খুলবে। বরাকের প্রাকৃতিক এবং মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুত ত্বরান্বিত হবে।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় লঙ্কা-ময়নারবন্দ প্রস্তাবিত রেলপথ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন সাংসদ পুরকায়স্থ। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট বৈঠকে প্রস্তাবিত এই রেলপথকে অনুমোদন প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানান তিনি। এর আগে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে রেলপথটি রূপায়ণে আলোচনা করেন রাজ্যসভার এই সাংসদ। তিনি মনে করেন, লঙ্কা-ময়নারবন্দ রেলপথ নির্মাণ হলে রেল যোগাযোগে বরাকের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। কেননা শিলচর – লামডিঙ ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন, উপরন্তু নানা পাহাড় ধসে বরাকের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। প্রস্তাবিত লঙ্কা-ময়নারবন্দ রেলপথ নির্মাণ হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়ানো যাবে এবং তেমনি রেল যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। প্রসঙ্গক্রমে বরাক উপত্যকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এবং পরিষেবা নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয় সাংসদ কণাদ পুরকায়স্থের। বরাক উপত্যকায় অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স বা এর সমপর্যায়ের প্রতিষ্ঠান রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স স্থাপনের আর্জি জানান তিনি। সাংসদ কণাদ পুরকায়স্থ বলেন, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্তবর্তী বরাক উপত্যকার ভৌগলিক অবস্থান জটিল। এখান রাজধানী শহর গুয়াহাটি যেতে দশ বারো ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়। ফলে
উন্নত চিকিৎসার অভাবে অনেকেই অকালে চলে যান। এইইমস বা রিমস্ এর মত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে বরাকের জনগণ পাবেন উন্নত এবং অত্যাধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা। বরাকের উন্নয়নে এমন বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণে রাজ্যসভার সদস্য কণাদ পুরকায়স্থকে সাধুবাদ জানিয়েে বিভিন্ন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *