বরাক তরঙ্গ, ৮ ডিসেম্বর : অসমের খাদ্য বণ্টন ব্যবস্থায় এক গুরুতর কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এফসিআই)-এর পরিচালিত একটি গুদাম থেকে প্রায় ৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকার চাল উধাও হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ধেমাজির গুদামে অভ্যন্তরীণ মজুত যাচাইয়ের সময় প্রায় ২৬,৮০০ বস্তা চাল উধাও থাকার তথ্য পাওয়া যায়।
এই ঘটনার পর এফসিআই-এর লখিমপুর কার্যালয় গুদাম নিয়ন্ত্রক রাকেশ দাস-সহ পাঁচজন কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এজিএম নিরঞ্জন জাংগ্রির নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি এখন নিখোঁজ চালের হদিস পেতে কাজ শুরু করেছে।
উধাও এই চালগুলি অসমের পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (পিডিএস) ও মিড-ডে মিল প্রকল্পে বণ্টনের জন্য বরাদ্দ ছিল, যা দরিদ্র পরিবার ও স্কুলপড়ুয়া শিশুদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিপুল ক্ষোভের ঘটনায় স্থানীয় মানুষ, সামাজিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সোমবার একাধিক সংগঠন এফসিআই অফিসে গিয়ে পুলিশের সম্পৃক্ততার অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। এক সমাজকর্মীর অভিযোগ, এত বড় পরিমাণ চাল নিখোঁজ হওয়া প্রভাবশালী মহলের জড়িত থাকা ছাড়া সম্ভব নয়। তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে চলমান অভ্যন্তরীণ তদন্তকে পূর্ণাঙ্গ ফৌজদারি তদন্তে রূপান্তরের দাবি জানান।
পাশাপাশি তদন্তের অগ্রগতি নিয়মিতভাবে সর্বসমক্ষে জানানোর দাবিও তোলা হয়। এদিকে, যেসব উপভোক্তা এই চাল পাওয়ার কথা ছিল, তারা আদৌ কবে এবং আদৌ তারা চাল পাবেন কি না— তা নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।


