বরাক তরঙ্গ, ৬ ডিসেম্বর : ৭৮ দিন ধরে উত্তপ্ত তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। আন্দোলনকারীদের দাবি, পলাতক উপাচার্য শম্ভুনাথ সিংকে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ব্যাপক দুর্নীতির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে। এই দাবিতে অনড় থেকে আজও তীব্র প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।
প্রায় ৫ হাজার ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক উপাচার্য শম্ভুনাথ সিংকে বরখাস্তের দাবিতে মূল ফটকের সামনে প্রতিবাদে শামিল হন। শনিবার পরিস্থিতি পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সচিব তথা বিশ্ববিদ্যালয় অনুদান কমিশনের (UGC) চেয়ারম্যান ড. বিনীত যোশী, যুগ্ম সচিব সৌম্য গুপ্তা-সহ আরও এক পরিচালক ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের এক যুগ্ম সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হন।
শনিবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে প্রতিনিধি দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার সময় ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে এবং শম্ভুনাথ সিংকে বরখাস্তের দাবিতে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে তীব্র প্রতিবাদ জানান।
শনিবার তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব তথা UGC-এর চেয়ারম্যান ড. বিনীত যোশী এবং উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সৌম্য গুপ্তা-সহ একটি প্রতিনিধি দল ছাত্র সংগঠন, শিক্ষক সংগঠন ও অশিক্ষক কর্মচারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকে মিলিত হন। তবে বৈঠকের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ছাত্র-শিক্ষক সমাজ। ফলস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার বন্ধ করে পথ অবরোধ করে প্রতিনিধি দলটিকে আটকে রাখা হয়।
আলোচনা শেষে সচিব বিনীত যোশী জানান, “সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল এই বিষয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”
অন্যদিকে, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ধ্রুবকুমার ভট্টাচার্য বলেন, তারা ছাত্র-শিক্ষক সবার দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। যেহেতু বিষয়টি তদন্তের আওতায় এসেছে, তাই তদন্ত প্রতিবেদন রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তিনি আরও জানান, এক সপ্তাহের মধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত উত্তর পাওয়া যেতে পারে।
ছবি সৌজন্যে etv bharat assam.


