৫ ডিসেম্বর : লক্ষ-লক্ষ যাত্রীর চরম ভোগান্তির পরে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙল ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের। বিমান পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটার জন্য আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সংস্থাটির তরফে দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ আমরা গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থী এবং বুঝতে পারছি যে গত কয়েকদিন আপনাদের অনেকের জন্য যাত্রা কতটা কঠিন ছিল।
পরিষেবা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে।’ একই সঙ্গে পরিষেবা বাতিলের জন্য ভোগান্তির শিকার যাত্রীদের হোটেলে রাখার এবং খাওয়ার বন্দোবস্থ করা হয়েছে বলেও সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাদের অগ্রিম টিকিট কাটা রয়েছে তাঁরা চাইলে ওই টিকিট ফেরত দিতে পারবেন এবং পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’
গত দু’দিন ধরেই পরিষেবা ও যাত্রীসংখ্যার নিরিখে দেশের বৃহত্তম বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পরিষেবা বিপর্যস্ত। যার জেরে ভোগান্তির শিকার লক্ষ লক্ষ বিমানযাত্রী। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে, শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত সমস্ত দেশীয় ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছিল। ক্ষোভে ফুঁসছেন যাত্রীরা। বন্দরে অপেক্ষারত যাত্রীরা ফ্লাইট বিলম্ব, লাগেজ হারিয়ে যাওয়া এবং খাবার ও জলের অভাবের অভিযোগ করেছেন।
দিল্লির ২২৫টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। বেঙ্গালুরু ১০২টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। মুম্বই থেকে ১০৪টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।হায়দরাবাদের ৯২টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। পুনে থেকে ৩২টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিমানবন্দরে আটকে থাকা যাত্রীরা এই পরিস্থিতিকে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলময় বলে বর্ণনা করেছেন। অনেকেই জানিয়েছেন এই যে পর পর ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে তা নিয়ে কাউকে কিছু জানানো হয়নি।
আহমেদাবাদ থেকে বারাণসীগামী ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় এক যাত্রী এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আমরা ১০-১২ ঘন্টা ধরে খাবার ও জল ছাড়াই আটকে আছি। বিকল্প ফ্লাইটের ভাড়া স্বাভাবিক ভাড়ার থেকে প্রায় তিনগুণ। প্রাপ্তবয়স্কদের একজনকেই দিতে হবে প্রায় ২৪,০০০-৩০,০০০।” আরেক যাত্রী আরও বলেন, “আমাদের জানানো হয়নি যে তারা ফ্লাইট বাতিল করছে। আমরা ভোর ৫টা থেকে জেগে আছি। এখান ২ ঘণ্টা পেরিয়েও ফ্লাইট স্বাভাবিক হয়নি। কতক্ষণ থাকতে হবে জানি না। এদিকে ইন্ডিগো থেকে আমাদের খাওয়া বা থাকার কোনও ব্যবস্থা করছে না। ওরা বলছে আগামীকাল আমাদের বিমানের ব্যবস্থা করবে। এদিকে আমাদের একটা বিয়েতে যোগ দিতে যাওয়ার কথা। কী যে ভীষন ঝামেলায় আছি। ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ আমাদের সত্যিই হতাশ করেছে।”


