মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২ ডিসেম্বর : পাথারকান্দির ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে ইতিমধ্যেই উৎসবমুখর আবহ। বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হতে চলেছে ১০৮ প্রভুপাদ শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামী জিউর ১১১তম শুভ আবির্ভাব তিথি মহোৎসব। আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী নানা মাঙ্গলিক আচার-অনুষ্ঠান, পূজার্চনা, কীর্ত্তন ও মহাপ্রসাদের মধ্য দিয়ে মহোৎসবটি মহাসমারোহে উদ্যাপিত হবে পাথারকান্দির রাধারমণ সেবাশ্রম প্রাঙ্গণে। এই মহোৎসবকে ঘিরে প্রভুপাদের হাজারো ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে একটি উৎসব পরিচালন কমিটি, যারা সার্বিক প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেবাশ্রম চত্বর এখন সাজসজ্জা, আলোকায়ন ও আধ্যাত্মিক আবহে সজ্জিত হয়ে উঠছে।
তিনদিনব্যাপী মহোৎসবের বিস্তারিত কর্মসূচি এতে ৩ ডিসেম্বর, বুধবার শুভ অধিবাস মহোৎসবের শুভ সূচনা হবে শুভ অধিবাসের মধ্য দিয়ে। সন্ধ্যায় পাশ্ববর্তী লঙ্গাই নদী থেকে জল আনয়নের পর প্রভুপাদের স্নান-সমাপন সম্পন্ন হবে।রাতে সাড়ে সাতটা থেকে অনুষ্ঠিত হবে সমবেত উপাসনা, যেখানে ভক্তরা একসঙ্গে ভক্তি-সঙ্গীতে মগ্ন হবেন। ৪ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার মঙ্গলারতি, পূজার্চনা ও মহাপ্রসাদ৷ দিনের শুরুতেই ভোরবেলা অনুষ্ঠিত হবে প্রভুপাদ রাধারমণের মঙ্গলারতি।সকাল সাতটায় পূণ্য স্নান সমাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দিনব্যাপী পূজার্চনা, যেখানে থাকবে গীতা পাঠ শ্রীনাম কীর্ত্তন ভোগ আরতি দুপুর ২টায় ভক্তদের মধ্যে পরিবেশন করা হবে মহাপ্রসাদ। সন্ধ্যা ৭টা থেকে আবারও আয়োজন থাকবে সমবেত উপাসনা ও ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান পর্ব।৫ ডিসেম্বর, শুক্রবার নন্দোৎসব ও সমাপন তিন দিনের ধারাবাহিক আচার-অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে নন্দোৎসবের মধ্য দিয়ে।
ভক্তদের উচ্ছ্বাস, সুর-লয়ের কীর্ত্তন, আরতি এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশে মহোৎসবটি নতুন মাত্রা পাবে।ভক্তদের প্রতি আয়োজক কমিটির আহ্বানরাধারমণ সেবা সমিতি এবং আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে ভক্তপ্রাণ জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা ও আনন্দঘন উপস্থিতি কামনা করা হয়েছে।তাদের আশা প্রতিবারের মতো এবারও পাথারকান্দি মগ্ন হবে ভক্তি, সেবা ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের অনন্য সমারোহে।


