পাকিস্তানের জেলে বন্দি ইমরান খানকে খুন করা হয়েছে, দাবি কাবুলের মিডিয়ার, উত্তাল

২৭ নভেম্বর : পাকিস্তানে ফের উত্তেজনা। এবার সমস্যার কেন্দ্রে পাক প্রশাসন। বুধবার আফগানিস্তানের গণমাধ্যম দাবি করেছে যে, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে মারা গিয়েছেন। জেলবন্দি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বোনদের মারধরের অভিযোগ পুলিসের বিরুদ্ধে। এর পরপরই নেটিজেনরা ‘এক্স’-এ খান সাহেবের মৃত্যুর খবর নিয়ে পোস্ট করতে শুরু করেন। তবে পাকিস্তান সরকার বা তাদের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এই খবর মানছে না। বলা যায়, পাকিস্তান সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে এই তত্ব উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের আদিয়ালা কারাগারের বাইরে গত রাতে এই নাটকীয় ঘটনা ঘটে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বোনদের টেনেহিঁচড়ে জেলের সামনে থেকে সরিয়ে আটক করার অভিযোগ উঠেছে। ইমরান খানের সঙ্গে সাপ্তাহিক সাক্ষাৎ করতে আসেন তাঁর বোনরা। সেই সময়ে তাঁদের সাক্ষাত করতে দেওয়া হয়নি। এর পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বোনেরা জেলের বাইরেই ১০ ঘন্টা ধরে অবস্থান ধর্মঘট করে। এই ঘটনায়ত সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ইমরান খানের বোন আলিমা খান, ডঃ উজমা এবং নরিন নিয়াজি এবং অন্যান্য দলীয় নেতারা তাদের সামনে এগোতে না দেওয়ায় জেলের কাছে ফ্যাক্টরি নাকাতে ধরনা দেন। পাকিস্তানের দৈনিক ডন-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিন (MWM) নেতা আল্লামা রাজা নাসিরের অনুরোধে প্রতিবাদ প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

এদিকে, পিটিআই-এর ইসলামাবাদ ইউনিট একটি পোস্টে খান সাহেবের বোন আলিমার একটি ভিডিয়ো সাক্ষাৎকার শেয়ার করেছে। সাক্ষাৎকারে আলিমা বলেন, ‘৯ মে, ৪ অক্টোবর এবং ২৬ নভেম্বরের শহীদদের সমস্ত পরিবার সন্ধ্যা ৫টায় হায়াতাবাদ, পেশোয়ারে আসবে। আমরাও ইনশাআল্লাহ সেখানে সেই পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগ দেব, এবং আপনাদেরও সবার সেখানে যাওয়া উচিত। তাদের চিনুন এবং সম্মান দিন যা তাদের প্রাপ্য।’

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে, বিক্ষোভের সময় ইমরানের বোনদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে নিজের এবং তাঁর বোনদের বিরুদ্ধে পুলিসি পদক্ষেপের নিন্দা করেছিলেন আলিমাও।

পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে। পিটিআই-এর দাবি একজন মহিলা পুলিস অফিসার নওরিনকে চুল ধরে রাস্তার উপর টেনেহিঁচড়ে মাটিতে ফেলে দেন এবং অন্য দুই বোনকেও মারধর করেন। আলেমার দাবি, এক সময়ে নাওরিন অজ্ঞান হয়ে যান এবং সেই অবস্থায় তাঁকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *