২৬ নভেম্বর : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)-কে ইজরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে চাপ দিয়েছেন। তবে যুবরাজ এ মুহূর্তে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের বিষয়টি স্পষ্টভাবে নাকচ করলে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ ও হতাশ প্রতিক্রিয়া দেখান। বিষয়টি প্রকাশ করেছে ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল–১২, দুই জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প ও প্রিন্স সালমানের মধ্যে সরাসরি বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বড় অংশ জুড়ে আলোচনার পরিবেশ যেন স্বাভাবিক ছিল, তবে ইসরায়েল–সউদী সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ প্রসঙ্গে কথাবার্তা শুরু হতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ট্রাম্প বৈঠকের শুরুতেই সউদী–ইজরায়েল সম্পর্কে অগ্রগতি আনার বিষয়ে চাপ দেন এবং এখন থেকেই প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানান। জবাবে মোহাম্মদ বিন সালমান জানান, তিনি ভবিষ্যতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী। তবে বর্তমানে তা সম্ভব নয়, কারণ গাজায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলার পর সউদী সমাজে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও কঠোর অবস্থান স্পষ্টভাবে বেড়েছে।
চ্যানেল–১২ জানায়, ক্রাউন প্রিন্সের এই অবস্থান ট্রাম্পকে ব্যথিত করে এবং তিনি বৈঠকে হতাশা প্রকাশ করেন। কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বিন সালমান কখনোই বলেননি যে তিনি স্থায়ীভাবে ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বেন না; বরং ভবিষ্যতের জন্য সম্ভাবনা খোলা রেখেছেন। তবে দ্বি–রাষ্ট্র সমাধান নামের বড় রাজনৈতিক জটিলতা এ ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে আছে।
এ বিষয়ে সৌদি দূতাবাসকে প্রশ্ন করলে তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশকেই আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তথ্যসূত্র : চ্যানেল-১২, টাইমস অব ইসরায়েল, খবর : দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকা ডিজিটাল।


