২২ নভেম্বর : সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠানেও ভারত বিদ্বেষ ছড়ালেন তদারকি সরকারের প্রধান উদেষ্টা মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নাম না করে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে সেনা সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লির বিরুদ্ধে বিষ ঢেলে তিনি বলেন, ‘শান্তিপ্রিয় জাতি হিসেবে বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মানজনক ও বৈশ্বিক সহবস্থানে আমরা বিশ্বাসী। তবে যে কোনও বহিঃশত্রুর আগ্রাসী আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষায় আমাদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’
গত বছরের ৫ অগস্ট সেনা অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেই বাংলাদেশে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে ভারত তথা হিন্দু বিরোধিতা। গত ৮ অগস্ট তদারকি সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে একাত্তরে গণহত্যা চালানো পাকিস্তানের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইউনূস। পাশাপাশি ভারত সম্পর্কেও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করে বাংলাদেশিদের মনে বিষ ঢালছেন।
এদিন সকালেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে দেশের বেশ কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি মৃত্যুমিছিলে সামিল হয়েছে দুই শিশু সহ ছয় জন। যখন দেশ জুড়ে শোকের পরিবেশ তখন সেনাকুঞ্জে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মৃত্যুর সংবাদ উপভোগ করেছেন বাংলাদেশ সেনার শীর্ষ আধিকারিকরা। বসেছিলেন খানাপিনার আসর। উড়েছিল মদের ফোয়ারা। সেনার ও্ জমকালো আসরে হাজির হয়েছিলেন ইউনূস। হাজির ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন তথা মৃত্যুপথযাত্রী খালেদা জিয়াও।
সেনা কুঞ্জের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে তদারকি সরকার কি-কি করেছে তার ফিরিস্তি তুলে ধরেন ইউনূস। তাঁর কথায়, ‘সশস্ত্রবাহিনীর উন্নয়ন দরকার। ফ্যাসিস্ট আমলে দক্ষতা উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পাকিস্তান ও মার্কিন সেনার সাহায্যে আমরা দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়িয়েছি।’
খবর : এই মুহূর্তে।


