শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনে মা সারদা দেবীর ১৭১ তম জন্ম তিথি পালন

বরাক তরঙ্গ, ৩ জানুয়ারি : রামকৃষ্ণ মিশন সেবাশ্রমে শ্রী মা সারদা দেবীর ১৭১ তম জন্ম তিথি পালন করা হয়। বুধবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল সকাল ৭ টা থেকে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, শ্রী মা সারদা দেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের বিশেষ পূজা, হোম যজ্ঞ ও ভোগারতি। সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয় মা সারদা দেবীর কথা পাঠ।
এরপর ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব, মা সারদা দেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতিতে শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী গনধীশানন্দ মহারাজের সঙ্গে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে ভক্তবৃন্দরা পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন। ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। দুপুর ১২ থেকে ২-৩০ মিনিট অবধি চলে ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরন।

শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনে মা সারদা দেবীর ১৭১ তম জন্ম তিথি পালন

এ দিন বিকেলে শ্রীমা সারদা দেবীর জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন স্বামী গনধীশানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও সারদা দেবীকে ভক্তেরা স্বয়ং নারায়ণ ও লক্ষী দেবী বলে মনে করেন। সারদা দেবীতে জগদ্ধাত্রী রূপে পুজো করেছিলেন রামকৃষ্ণদেব। রামকৃষ্ণদেবের প্রয়াণের পরে তাঁর আদর্শে ধর্ম আন্দোলননে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন সারদা মা। সেই সময় পল্লীগ্রামের এক তথাকথিত শিক্ষাবিহীন রমণী যে ভাবে যাবতীয় লোকচারের ঊর্ধে উঠ সব ভেদাভেদ ভুলে নিজেকে সবার মা হিসেবে পরিচিত করেছিলেন, তা সত্যিই অতুলনীয়। সেবা-ধর্মের মূর্ত প্রতীক, সারদামণি সাধারণ পল্লিরমণী হয়েও কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিলেন না। অস্পৃশ্যতাবোধকে কী করে দূরে সরিয়ে রাখতে হয় তা তিনি নিজের জীবনের আচরণ দিয়ে শিখিয়ে গেছেন। জনসেবাতেই তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।সন্ধ্যা আরতি ও ভজন দিয়ে শেষ হয় এদিনের মা সারদার জন্মতিথি অনুষ্ঠান।
প্রতিবেদক : দীপ দেব, শিলচর।

Author

Spread the News