কালীনগরে দু’পক্ষের মারপিটে আহত দুই নাবালক সহ ১১ জন
হিবজুর রহমান, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৮ মে : রাস্তা নিয়ে দু’পক্ষের মারপিটে আহত হলেন ১১ জন। রেহাই পায়নি দশ বছরের ছাত্রও। ঘটনাটি সংঘটিত হয় বুধবার সকালে পাঁচগ্রাম থানা অধীন কালীনগর চতুর্থ খণ্ডে। মারপিটে এখন উত্তেজনা বিরাজ করছে এলাকায়। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
জানা যায়, কালীনগর চতুর্থ খণ্ড, বক্রিহাওর সপ্তম খণ্ড এবং অষ্টম খণ্ড তিনটি গ্রামের ৩৭ নং জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযোগকারী একমাত্র রাস্তাটি বেহাল হওয়ায় গ্রামবাসী মিলে মাটি ভরাট দিতে গেলে বাধা দেন ইকবাল হুসেন ও নজমুল হুসেন। এক সময় বাকবিতণ্ডা শুরু হলে গ্রামের লোকদের উপর দা, লাঠি দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় আরও কয়েকজন। সেসময় রাস্তা দিয়ে স্কুলে রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল দশ বছর বয়সী মুমিন হাসান চৌধুরী। মুমিনকে জাতীয় সড়ক পার করে দিতে আসেন তার মা রেশমিনা বেগম চৌধুরী। মুমিন এবং তার মাকেও মারপিট করেন ইকবাল ও নজমুলেরা বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কাটাখাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শুভম পাল। একে একে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরাও। শতাধিক গ্রামবাসীর দাবি তাঁদের চলাচলের রাস্তা ভেজালমুক্ত করে দিতে হবে। রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
এ দিকে, মারপিটে একপক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন কফিজুর হক চৌধুরী, সালমান উদ্দিন চৌধুরী, সাহেল উদ্দিন চৌধুরী, রুহুল আলম চৌধুরী, রেশমিনা বেগম চৌধুরী, সাকিব হুসেন চৌধুরী (১১) ও মুমিন হাসান চৌধুরী (১০)। অপর পক্ষের চারজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইকবাল হুসেন চৌধুরী, নজমুল হুসেন চৌধুরী, আজমল হুসেন চৌধুরী, সজমুল হুসেন চৌধুরী। ইকবালদের পাল্টা অভিযোগ তাদের উপরও হামলা করা হয়েছে। পুলিশি তদন্ত হলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি শামীম আহমেদ চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে সমঝোতার পথে নিয়ে আসেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই থানায় বসে মীমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দিলে উভয় পক্ষ মেনে নেন।