বিলকিস বানু : শিলচরে প্রতিবাদ তিন মহিলা সংগঠনের, পুনরায় শাস্তির দাবি
বরাক তরঙ্গ, ২৫ আগস্ট : গুজরাতের বিলকিস বানুর গণধর্ষণ মামলায় দোষীদের ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হল শিলচরের নারী সংগঠন। বৃহস্পতিবার শহিদ ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে নারী মুক্তি সংস্থা, সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এক বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। বিক্ষোভ চলাকালে সেখানে বক্তব্য রাখেন সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা মহিলা সংস্থার নেত্রী আতরজান বেগম মজুমদার, সারা ভারত মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের জেলা সম্পাদিকা দুলালী গাঙ্গুলি, নারী মুক্তি সংস্থার স্নিগ্ধা নাথ, প্রাক্তন অধ্যক্ষা সীমা ঘোষ, বিশিষ্ট লেখিকা আদিমা মজুমদার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ২০০২ সালে গুজরাতের ভয়াবহ দাঙ্গার সময় ১২ জন দাঙ্গাবাজ বিলকিস বানু নামে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্বা মহিলাকে গণধর্ষণ করে এবং তাঁর পরিবারের তিন বছরের শিশু সহ সাতজনকে হত্যা করে। এই পাশবিক ঘটনার তদন্ত সিবিআই করেছিল এবং নিম্ন আদালত থেকে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত এই নারকীয় ঘটনাকে জঘন্য থেকে জঘন্যতম ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। আদালতের বিচারে দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
![বিলকিস বানু : শিলচরে প্রতিবাদ তিন মহিলা সংগঠনের, পুনরায় শাস্তির দাবি বিলকিস বানু : শিলচরে প্রতিবাদ তিন মহিলা সংগঠনের, পুনরায় শাস্তির দাবি](https://baraktaranga.com/wp-content/uploads/2022/08/IMG-20220825-WA0021-1024x768.jpg)
তারা বলেন, গত ১৫ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে যখন লালকিল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে মহিলাদের সম্মান রক্ষা ও সুরক্ষার বিষয়ে তার সরকারের ভূমিকার কথা তুলে ধরছিলেন সেদিনই গুজরাত সরকারের সুপারিশে বিলকিস বানুর গণধর্ষণ মামলার ১১ জন অপরাধীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা দেশের বিবেকবান মানুষের মনে গভীর রেখাপাত করেছে। মহিলাদের উপর পাশবিক অত্যাচার, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা যখন দিন দিন বেড়ে চলেছে তখন ধর্ষণের মতো ঘটনার অপরাধীদের চরম শাস্তি ভোগের বদলে সরকারের যদি ছেড়ে দেয় তাহলে ভবিষ্যতে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনা আরও বাড়বে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিলকিস বানুর গণধর্ষণের আসামীদের পুনরায় কঠোর শাস্তি প্রদানের জোরালো দাবি জানায়।