পরাজয়ের ডাবল হ্যাটট্রিকের পথে নর্থইস্ট ইউনাইটেড
বরাক তরঙ্গ, ৫ নভেম্বর : ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ফুটবলে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারল না নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। ঘরের মাঠ গুয়াহাটির সরুসজাইয়ে ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে শনিবার তারা ৩-০ গোলে পরাজিত হল কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে। বিজয়ী দলের হয়ে ৫৪ মিনিটে দিয়ামান্তাকোস দিমিত্রিয়োস এবং ৮৪ মিনিটে ও স্টপেজ টাইমে পরিবর্ত ফুটবলার সাহাল আব্দুস সামাদ জোড়া গোল করেন। এটা ছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের দ্বিতীয় জয়।
পল গ্রোভস শনিবার কোচ হিসেবে নর্থইস্টের ডাগআউটে ছিলেন। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে কার্ড দেখায় সাসপেনশনে ছিলেন নিয়মিত কোচ মার্কো বালবুল। এছাড়া অধিনায়ক গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যের পরিবর্তে তিনকাঠির নিচে ছিলেন মিরশাদ। প্রথমার্ধ তিনি তেমন কঠিন পরীক্ষায় পড়েননি। তবে বিরতির পর নর্থইস্টের রক্ষণভাগ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। এর পরিণতিতে মিরশাদও তিনকাঠি সামাল দিতে পারেননি। গোল তিনটির পিছনে পুরো দোষ ঘরোয়া দলের ডিফেন্স লাইনের।
এদিন নর্থইস্ট ইউনাইটেডের ব্যর্থতা ছিল খুবই দৃষ্টিকটু। খেলা তখন ৮২ মিনিটে। নর্থইস্টের আক্রমণ তখন তুঙ্গে। বক্সের ডান প্রান্তে বল পেলেন ব্রিটিশ খেলোয়াড় ম্যাথু অ্যান্থনি। গোললাইনের সমান্তরালে বল নিয়ে ছুটলেন। কোন দিকে একটা গোলপোস্ট থেকে অন্য গোল পোস্ট পেরিয়ে গেলেন বুঝতেই পারলেন না। অথচ একটা টোকা দিলেই গোল হয়ে যেত। ম্যাচও ১-১ হয়ে যেত। এর পরের মিনিটেই কেরালার গোলরক্ষক প্রভসুখন সিং গিল আরেকটি দুর্দান্ত সেভ করলেন। এরপর থেকে খেলার বাকি পুরো অংশই ছিল কেরালাময়।
প্রসঙ্গত, ম্যাচে প্রথম গোল করার সুযোগ পেয়েছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড। খেলার বয়স সবে সাত মিনিট। বক্সের বাইরে থেকে তাদের ফরাসি স্ট্রাইকার রোমাইন ফিলিপোটিয়াক্সের শট বারে লেগে মাঠে ফিরে আসে। এরপর জটলা থেকে বলটি তালুবন্দি করে নেন কেরালা ব্লাস্টার্সের গোলরক্ষক সন্দীপ সিং।