১১ নভেম্বর : ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুকের ৭০তম জন্মবার্ষিকীতে যোগ দিতে দু’দিনের জন্য ভুটান সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখান থেকেই দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ খুললেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। গভীর শোক প্রকাশ করে বললেন, আজ অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এসেছি। দিল্লির বিস্ফোরণে যেসব পরিবার স্বজন হারালো, তাদের সমবেদনা। সোমবার সন্ধের ঘটনা পুরো দেশকে আঘাত দিয়েছে। ক্ষত তৈরি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারারাত ঘটনার তদন্তে নিয়োজিত সবকটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দ্বর্থ্যহীন ভাষায় বুঝিয়ে দেন, এই ষড়যন্ত্রে জড়িতদের ছাড়া হবে না। তদন্ত হবে গভীরে গিয়ে। এজেন্সিগুলি এই ঘটনার শিকড় পর্যন্ত পৌঁছবে। ষড়যন্ত্রকারীদের রেহাই দেওয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আজকের দিনটি ভুটান, রাজপরিবার এবং বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাসী সব মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও ভুটানের মধ্যে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আন্তরিক, আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের সাধারণ ঐতিহ্যকে তুলে ধরে এই যোগসূত্র। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগদান করা কেবল ভারতের জন্য নয়, তাঁর নিজের জন্যও একটি দৃঢ় সংকল্প ও প্রতিশ্রুতির প্রতীক। তিনি বলেন, ভারত সবসময় ভুটানের পাশে থাকবে এবং উভয় দেশের সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হবে।
মঙ্গলবার সকালে ভুটানে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সফরের আগে এক্স-এ তিনি লেখেন, “ভুটান সফরে যাচ্ছি, যেখানে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেব। এই সফর আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উদ্দীপনা দেবে।” তার এই সফরকে ভুটানের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব ও আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।


