গোয়ার নাইট ক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে মৃত্যু ২৩ জনের, বাড়ার আশঙ্কা

৭ ডিসেম্বর : গোয়ার নাইটক্লাবে মাঝরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ২৩। প্রথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,তদন্তের পরই বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানা যাবে। রাতভর চলছে উদ্ধারকাজ।

চারদিক ঘন ধোঁয়া, আগুনের লেলিহান শিখা। আহতদের চিৎকারে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও-ছবিতে দেখা গেছে আগুনের তীব্রতা কতটা ভয়াবহ। অনেকেই দীর্ঘ সময় ক্লাবের ভিতরে আটকে ছিলেন, যাদের উদ্ধার করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যায়।
গোয়ার উত্তর জেলার আরপোরা ভিলেজের একটি নাইট ক্লাবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গেল অন্তত ২৩ জনের। শনিবার রাতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। গোয়া পুলিশের ডিজি আলোক কুমার জানিয়েছেন “কমপক্ষে ২৩টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ক্লাবের কর্মচারী।” পুলিশের দাবি, কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে আগুনে পুড়ে, আর অনেকের মৃত্যু দমবন্ধ হয়ে।দুর্ঘটনার সময় ক্লাবের ভেতর প্রচুর সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন, ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। মৃতদের তালিকায় ২০ জন পুরুষ এবং ৩ জন মহিলা রয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এদের বেশিরভাগই ক্লাবের কর্মচারী বলে জানা গিয়েছে।

রাত ১২টা ৪ মিনিটে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন।বিজেপি বিধায়ক মাইকেল লোবো জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হয়ে বেসমেন্টের দিকে দৌড়ে যাওয়ার সময় বেশিরভাগ মানুষ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন। লোবো নিশ্চিত করেছেন যে নিহতদের মধ্যে কয়েকজন পর্যটক এবং বেশিরভাগই স্থানীয়। মৃত স্থানীয়রা রেস্তোরাঁর বেসমেন্টে কাজ করছিলেন। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানিয়েছেন যে ক্লাবটি অগ্নি সুরক্ষা বিধি অনুসরণ করেনি। মুখ্যমন্ত্রী সাওয়ান্ত এই ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং নিরাপত্তার ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও ক্লাব পরিচালনা এবং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *