ষান্মাসিক দিগন্তিকা সাহিত্য পুস্তিকার উন্মোচন

বরাক তরঙ্গ, ১২ মে : ষান্মাসিক দিগন্তিকা সাহিত্য পুস্তিকার উন্মোচন হল। রবিবার শিলচর মালুগ্ৰামের অরুণা-তারাপদ স্মৃতি গ্ৰন্থাগারে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গীত ও কবি-গল্প পাঠের এক অন্যন্য মনোরম পরিবেশের মধ্যে দিয়ে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য তথা এই অঞ্চলের বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক-প্রাবন্ধিক ড.তপোধীর ভট্টাচার্য, কবি-লেখিকা কস্তুরী হোম চৌধুরী, প্রাক্তন অধ্যাপক বিভাষ চৌধুরী, কবি-লেখক তপজ্যোতি ভট্টাচার্যের হাত দিয়ে এই অঞ্চলের বহুল প্রচারিত বরাকের নতুন দিগন্ত প্রকাশনীর সম্পাদিকা কবি-লেখিকা ও সম্পাদক মিতা দাস পুরকায়স্থের সম্পাদনায় ষান্মাসিক দিগন্তিকা সাহিত্য পুস্তিকাটি উন্মোচন হল। অনুষ্ঠানের প্রথমে উপস্থিত প্রত্যেকজন কবি-লেখকদের বরাকের নতুন দিগন্ত প্রকাশনীর পক্ষ থেকে সঙ্গীত শিল্পী দেবস্মিতা পুরকায়স্থ উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান। ষান্মাসিক দিগন্তিকা সাহিত্য পুস্তিকাটি উন্মোচন অনুষ্ঠানের মুখ্য অতিথি তপোধীর ভট্টাচার্য বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জন্মের মাসে এই ষান্মাসিক দিগন্তিকা সাহিত্য পুস্তিকাটি উন্মোচন করাটা হল এই অঞ্চলের সাহিত্য রচনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শুভ লক্ষণ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি বিশ্বকবি নামে পরিচিত, তাঁর সাহিত্যিক অবদান, শিক্ষা ও সামাজিক চিন্তাভাবনা বর্তমান প্রজন্মের কাছেও প্রাসঙ্গিক। তাঁর সাহিত্য, সঙ্গীত এবং শিক্ষা দর্শন আজও তরুণদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করে।আগামী তরুণদের সাহিত্য চর্চার দিকে এগিয়ে আসতে পরামর্শ দেন, সেই সঙ্গে এই অঞ্চলের উদ্যমী লেখিকা তথা সম্পাদক মিতা পুরকায়স্থের প্রয়াসকে সাধুবাদ জানান।

কস্তুরী হোম চৌধুরী বলেন, কবি-লেখক ও প্রকাশক মিতা দাশ পুরকায়স্থ নিজের জীবনে যেভাবে সাহিত্যচর্চা করেন, ঠিক অন্যদেরও সাহিত্য চর্চা করতে উৎসাহিত করে যাচ্ছেন। আর তাঁর লেখায় ফুটে তথ্যভিত্তিক আধুনিকতার চিন্তাধারা ফুটে উঠে। মিতা দাস পুরকায়স্থ বলেন, এই ষান্মাসিক দিগন্তিকা সাহিত্য পুস্তিকাটির মধ্য এই অঞ্চলের সাহিত্যপ্রেমী লেখকদের কবিতা ও তথ্যভিত্তিক প্রবন্ধের সম্ভার রয়েছে। কবিতা ও প্রবন্ধকে বিশ্বময় করার জন্য কয়েকটি শ্রেণী ইতিমধ্যে কাজ করছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। কবিতার জন্য দেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বহু প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার দেওয়া হয় তাই কবিতা কখনোই বাংলা সাহিত্য থেকে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রত্যেকটি দেশেই কম বেশি সাহিত্য চর্চা হয় এবং সাহিত্যকে অত্যন্ত উচ্চমার্গীয় স্থানে রাখা হয়েছে আর সাহিত্যের অত্যন্ত উচ্চমার্গীয় স্থানে রাখা হয়েছে কবিতা ও প্রবন্ধকে। প্রবন্ধ ও কবিতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানব জীবনের জন্য।

ষান্মাসিক দিগন্তিকা সাহিত্য পুস্তিকার উন্মোচন

Author

Spread the News