সাইবার অপরাধীর খপ্পরে শিলচরের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তি, খোয়ালেন অর্থ

বরাক তরঙ্গ, ২৬ জুলাই : কংগ্রেস নেতা ডাঃ শান্তিকুমার সিংহের পর এবার সাইবার অপরাধীর খপ্পরে পড়েছেন কাছাড় ক্যানসার হাসপাতালের প্রশাসনিক অধিকর্তা – কল্যাণ চক্রবর্তী ও হৃদয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার কোষাধ্যক্ষ রাতুল ভট্টাচার্য। তবে বুদ্ধিমত্তার জন্য রক্ষা পেলেন রাতুলবাবু।

কল্যাণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে তাঁর মুঠোফোনে একটি কল আসে। রিসিভ করে শুনতে পান, দিল্লিতে পুলিশের মারে কাঁদছে তাঁর ছেলে। ফোনে বলছে, বাবা আমাকে বাঁচাও। অপর প্রান্ত থেকে নিজেকে পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে কল্যাণ চক্রবর্তীতে বলা হয়, যেহেতু তিনি কাছাড় ক্যানসার হাসপাতালের বরিষ্ট আধিকারিক তখন ছেলের অপরাধের বিষয়টি জানাজানি হলে আত্মসম্মানের হানি হতে পারে। তাই বিষয়টি রফা করতে চাইলে কিছু টাকা দিতে হবে। ছেলে অপরাধ করেছে শুনেই বাবা হিসেবে নিজেকে স্থির রাখতে হয়েছে ৩০ হাজার টাকায়।

এ বিষয়ে কল্যাণ চক্রবর্তী জানান, ছেলের কান্না শোনে নিজেকে স্থির রাখতে পারিনি। ফেঁসে যাই অনলাইন প্রতারকচক্রের ফাঁদে। তড়িঘড়ি ঋণ নিয়ে দাবি মত টাকা অনলাইনে পাঠান তিনি। আর এরপরেই ফের যখন সমসংখ্যক অর্থ দাবি করা হয়, তখন বুঝতে পারেন সাইবার অপরাধীদের পাতা ফাঁদে পড়েছেন।

সাইবার অপরাধীর খপ্পরে শিলচরের দুই বিশিষ্ট ব্যক্তি, খোয়ালেন অর্থ

এদিকে, রাতুল ভট্টাচার্যের কাছে আসা ফোনে আধার সংক্রান্ত সমস্যার কথা বলে তাঁকে দিয়ে আধারের ফটোকপি চেয়ে নেওয়ার পর আর্থিক লেনদেনের সময় বুঝতে পারেন কি ঘটতে চলেছে। তখনই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। উভয়েই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অনলাইন প্রতারণা থেকে জনগণকে সতর্ক থাকার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, বুধবার থানায় এফআইআর করেছেন। উভয়েই বলেন, এ ধরনের কোনও কল এলে অর্থ বরাদ্দ তো নয়ই, আধার, প্যানকার্ড, ব্যাঙ্কের তথ্য যেন দেওয়া না হয়। এমন কল আসলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

Author

Spread the News