জিরিঘাটে দু’টি পুলিশ চেক-গেট, নদীপথে একটি চেকিং ওয়াচ-পোস্টের দাবি

বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১০ জুন : মণিপুরের জিরিবাম জেলায় জাতিদাঙ্গায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অসমের সীমান্ত কাছাড় জেলার জিরিঘাটের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় প্রতিদিন টহলদারি অব্যাহত রেখেছে কাছাড় পুলিশ। অসম-মণিপুর সীমান্তে বেশকটি বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি করা হয়।  এনিয়ে সীমান্ত এলাকার প্রায় একশো পরিবার ঘরছাড়া হয়ে আশ্রয় নেয় বরাক উপত্যকার কাছাড় জেলার লক্ষীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্তে। তাছাড়া সীমান্তে চরম উত্তেজনার ভয়ে গৃহহারা পরিবারগুলো অসম সরকার সহ কাছাড় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে স্থানীয় বিধায়ক কৌশিক রায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তবে সীমান্ত সমস্যার অশান্তি কাছাড় জেলা তথা বরাক উপত্যকায় না পড়ার জন্য যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় কাছাড়ের পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে।

জিরিঘাটে দু'টি পুলিশ চেক-গেট, নদীপথে একটি চেকিং ওয়াচ-পোস্টের দাবি

সোমবার বিকেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যেন থাকে এনিয়ে এক জরুরি সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সামিল হয় জেলা প্রশাসন, লক্ষীপুর প্রশাসন সহ স্থানীয় বুদ্ধিজীবী মহল এবং বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা। সভায় অনেকেই দাবি রাখেন এলাকায় দু’টি পুলিশ চেক-গেট, নদীপথে একটি চেকিং ওয়াচ-পোস্ট প্রদানের জন্য। সভায় জেলা প্রশাসন সক্রিয় সহযোগিতা এবং তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার।

জিরিঘাটে দু'টি পুলিশ চেক-গেট, নদীপথে একটি চেকিং ওয়াচ-পোস্টের দাবি

উল্লেখ্য, কাছাড় পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতোর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ ও কমান্ডো বাহিনী নিয়ে রবিবার থেকে শুরু হয় টহলদারির ব্যবস্থা। তৎসঙ্গে মণিপুর থেকে আতঙ্কে লক্ষীপুরে আশ্রয় নেওয়া লোকেদের সাময়িক শরণার্থী হিসেবে ব্যবস্থা করে দিতে তৎপর হয় জেলা প্রশাসন।

Author

Spread the News