এ বছর রূপম এর নাটক প্রতিযোগিতায় শিরোপা দখল ‘আজকের প্রজন্ম’-র
বরাক তরঙ্গ, ২৩ মার্চ : রূপম আয়োজিত নরেশচন্দ্র পাল স্মৃতি বাংলা একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতায় সেরা শিরোপা অর্জন করল ‘আজকের প্রজন্ম’। ‘দ্য অ্যামাজিং গার্ল’ নাটকের জন্য আজকের প্রজন্ম এর শিল্পীরা শিরোপা দখল করেন। শনিবার বঙ্গভবনের আটদিন ব্যাপী চলা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হন আজকের প্রজন্ম এর শুভ্রা দাস। শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন দশরূপকের সন্তোষ চক্রবর্তী। শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীর পুরস্কার ছিনিয়ে নেয় নবারুণের তেজস রায়। তাদের নাটক ‘খাম্বারন’। শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীর পুরস্কার পায় ধর্মনগরের দর্পনের কৃষ্ণেন্দু দেবনাথ। নাটক ‘অজানা পৃথিবী’। শ্রেষ্ঠ নিয়মানুবর্তি দল সঙ্কেত, দক্ষিণেশ্বর। শ্রেষ্ঠ মঞ্চসজ্জা অঙ্কন কংশ বণিক, নাটক ‘দ্য এমাজিং গার্ল’, দল আজকের প্রজন্ম। শ্রেষ্ঠ আবহ ইন্দ্রনীল দে, রেস পয়লাপুল। নাটক ‘ভালবাসা এক ধূসর পাখি’। শ্রেষ্ঠ রূপসজ্জার পুরস্কার লাভ করেন আজকের প্রজন্মের স্বপনকান্তি রায়। শ্রেষ্ঠ আলোসজ্জার পুরস্কার ছিনিয়ে নেন সংলাপ মুখার্জি।
তৃতীয় শ্রেষ্ঠ পার্শ্ববর্তী অভিনেত্রী হন রানিকুঠি জীয়নকাঠির তপোলব্ধা মুখার্জি। নাটক ‘ক্রান্তিকালের সোনাটা’। স্বল্পিতা দাশগুপ্ত। নাটক ‘ডর’। দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব পারমিতা পাল। নাটক ‘অভয়ারণ্য’। শ্রেষ্ঠ সহ পার্শ্ব অভিনেত্রী পুরস্কার লাভ করেন শ্বেতা রায়, আজকের প্রজন্ম। যুগ্মভাবে তৃতীয় শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হন মিঠুন রায়। নাটক লিগ্যাসি এবং নির্মল রবিদাস। নাটক আর্তনাদ। দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন দীপঙ্কর সেন।’বুধনি’। দল কালচারাল ইউনিট।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা রিচীক মুখার্জি। নাটক ‘ক্রান্তিকালের সোনাটা’। চতুর্থ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী স্নেহাশ্রী বকসী। নাটক ‘পাটকার’ বিন্দুরূপ। তৃতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী শালিনী মিশ্র। রেস পয়লাপুল। নাটক ‘ভালবাসা একটা ধূসর পাখি’ দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী রুমি রায়। ‘উড়োপাখি’। গণসুর। নাটক ‘দ্য অ্যামাজিং গার্ল’। দল আজকের প্রজন্ম। যুগ্মভাবে চতুর্থ শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান বিশ্বজিত নাথ সমাজপতি, অভয়ারণ্য এবং এগ্রিমেন্ট। তৃতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হন শোভন দাস। নাটক ‘কাল হেমন্ত’। বিবর্তন হাইলাকান্দি। দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৃষ্ণেন্দু নাথ। ‘পাটকার’ বিন্দুরূপ।
শ্রেষ্ঠ পাণ্ডুলিপি হয় পান নাটককার চিত্রভানু ভৌমিক। অন্য নাটকের ভাবান্তর লেখায় পুরস্কৃত হন বিপ্লব দাস। ‘উড়ো মেঘ’ নাটকের জন্য চতুর্থ শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পান সুব্রত রায়।
তৃতীয় শ্রেষ্ঠ পরিচালক হন ইন্দ্রনীল দে। নাটক ‘ভালবাসা একটা ধূসর’ পাখি দল রেস। দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার লাভ করেন সায়ন বিশ্বাস। নাটক ‘কাল হেমন্ত’। বিবর্তন। শ্রেষ্ঠ পরিচালকের সম্মানলাভ করেন রঞ্জিত সরকার। ‘পাটকার’। দশম শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা নান্দনিক। নবম কোরক কলকাতা। অষ্টম ইউনিটি মালঞ্চ, সপ্তম এগ্রিমেন্ট। নবদিগন্ত। ষষ্ঠ রানিকুঠি জিয়নকাঠি। ক্রান্তিকালের সোনাটা। পঞ্চম গণসুর। নাটক উড়োমেঘ। চতুর্থ রেস। নাটক ‘ভালবাসা একটা ধূসর পাখি’। তৃতীয় হয় দশরূপক। দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করে বিন্দুরূপ। আর, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কাঙ্খিত এই প্রতিযোগিতার সেরা প্রযোজনার শিরোপা ছিনিয়ে নেয় ‘দ্য অ্যামেজিং গার্ল’ নাটকের জন্য শিলচরের আজকের প্রজন্ম। শ্রেষ্ঠ শিশু শিশুশিল্পী সমন্বয়ের জন্য দর্পন। দর্শকের বিচারে এবার সেরার শিরোপা লাভ করে দশরূপক।