তিন মার যুবককে এনকাউন্টার নিয়ে এজাহার পরিজনদের
বরাক তরঙ্গ, ২০ জুলাই : ভুবন পাহাড়ের পাদদেশে কচুদরম থানা এলাকার গঙ্গানগর ত্রয়োদশ খণ্ডে তিন মার যুবক লালুংগাই মার (২১), লালবিকুং মার (৩৩) ও যশোয়া মার (৩৫)-এর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এজাহার দায়ের করলেন তাদের পরিজনরা। লালবিকুং-এর বাবা লালথাভেল মার, লালং গাইয়ের বাবা লালরেমসাং মার ও যশোয়ার ভাই লালচুংহুং মার শুক্রবার যৌথভাবে লক্ষীপুর থানায় দায়ের করেছেন এজাহার। এরমধ্যে লালথাভেল মার ও লালরেমসাং মার লক্ষীপুর থানা এলাকার ভুবনকে বেথেলের বাসিন্দা।
এজাহারকারীদের বক্তব্য, পুলিশ জঙ্গি বললেও লালবিকুংরা তিনজনই ছিল আইনের অনুশাসন মেনে চলা নাগরিক। তিনজনের কারোই অপরাধের কোনও রেকর্ডও ছিল না। তাঁদের কথায় পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন তিনজনের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু নিয়ে পুলিশ কর্তারা যে বয়ান দিয়েছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনা সম্পর্কিত যেসব ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হয়েছে সেসবের সূত্রে অনেক প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। এই অবস্থায় তারা ঘটনা নিয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাচ্ছেন। তারা আরও জানান, ১৬ জুলাই ঘটনার পর এতটা দেরিতে এজাহার দায়ের করার কারণ, তিনজনকে গ্রেফতারি নিয়ে তাদের কিছুই জানানো হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভিডিও এবং ফটো ভাইরাল হওয়ার পর অন্যান্যদের ক্ষেত্রে গতকাল তারা জানতে পেরেছেন ব্যাপারটা। তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এভাবে এজাহার দায়ের করা হলেও এ পর্যন্ত অবশ্য কেউ মৃতদেহ সমঝে নিতে এগিয়ে আসেন। তিনটি মৃতদেহই এখনও রয়ে গেছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
এদিকে, এজাহার নিয়ে লক্ষীপুর থানার এক সূত্র জানান, ঘটনাস্থল যেহেতু কচুদরম থানা এলাকায় পড়েছে তাই এজাহার পাঠিয়ে দেওয়া হবে কচুদরম থানায়। এ ছাড়াও তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে একইভাবে প্রশ্ন তুলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে ইন্ডিজিনিয়াস পিপলস ফোরাম। এই সংগঠনের সদর কার্যালয় রয়েছে ডিমাহাসাও জেলার হাফলং-এ। ফোরামের সভাপতি এল কুকি, কার্যকরী সভাপতি এস জেমি ও সাধারণ সম্পাদকএল হেলিমা কেইভম-এর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে সঙ্গে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের কাছে এ নিয়ে স্বতোপ্রণোদিতভাবে মামলা নথিভুক্ত করারও দাবি জানানো হয়েছে।