পাথারকান্দিতে পড়ুয়াকে বেধড়ক মারপিট তিন শিক্ষকের, গ্রেফতার ১
ডিজিপির নজরে ভাইরাল ভিডিও, পরিদর্শন ডিসির___
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২০ জুলাই : কলেজ পড়ুয়াকে বেধড়ক মারপিট করলেন তিন শিক্ষক। এ ঘটনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় পাথারকান্দি কমরুল হক জুনিয়র কলেজে। শনিবার তিন শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে কলেজ চত্তর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে পুলিশ। অভিযুক্ত এক শিক্ষককে গ্রেফতার করে। এ দিকে মারপিটের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। ভিডিওটি নজরে পড়ে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক জ্ঞানেন্দ্র প্রসাদ সিংয়ের। তিনি সঙ্গে সঙ্গে এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ পুলিশকে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ঘটনাটি জানার পর সকালে সরেজমিনে তদন্ত করে যান জেলাশাসক মৃদুলকুমার যাদব।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে শুভ্রাংশু সিনহা নামে প্রথম বর্ষের ছাত্রকে তিন শিক্ষক মিলে বেধড়ক মারপিট করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের নাম হল যথাক্রমে আকবর রাজা, তানজিম চৌধুরী ও ইংরেজি বিষয় শিক্ষক জহিরুল ইসলাম। রুমের দরজা বন্ধ করে তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। আকবর রাজা নামের বিএমএসের শিক্ষক পড়ুয়ার বুকে ও পিঠে লাথি মারেন বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে আহত পড়ুয়ার একটি ভিডিও শুক্রবার থেকে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক হারে ভাইরাল হয়ে পড়ে এতেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে পাথারকান্দি সহ সর্বত্র। এদিকে, আহত পড়ুয়াটিকে প্রথমে পাথারকান্দি ও পরে করিমগঞ্জ সিভিল হসপিট্যালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থা সঙ্গীন হওয়ায় শনিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দফায় দফায় ছাত্র সহ অভিভাবক ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা পাথারকান্দি থানা ও সার্কল অফিস চত্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এই মারধরের কাণ্ডে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। ফলে কলেজে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয় পুলিশ তদন্তে নেমে জহিরুল ইসলাম নামের এক অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এবং বাকি অভিযু্ক্তদের ধরতে পুলিশি তৎপর রয়েছে। এদিকে এই চাঞ্চল্যকর এ কাণ্ডে অভিযুক্ত কলেজ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, আহত পড়ুয়া পাথারকান্দির তিনখাল গ্রামের দেবাশিস সিনহা ও সেউলি সিনহার ছেলে।