শাহি জামে মসজিদে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত তিন
২৪ নভেম্বর : শাহি জামে মসজিদের সমীক্ষা ঘিরে সংঘর্ষে মৃত্যু হল ৩ জনের। রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের সম্বলের চান্দৌসি শহরে ঘটনাটি ঘটেছে। সংঘর্ষে নিহতদের নাম নইম, তিনি কোট কুরভি এলাকার বাসিন্দা, বিলাল, তাঁর বাড়ি সারাই তারিনে। অপরজনের নাম নুমান। তিনি সম্বলের হায়াত নগরের বাসিন্দা। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাকে ঘিরে এদিন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ছোড়া হয় পাথর। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় এক পুরোহিত আদালতে অভিযোগ করেছিলেন, শাহি জামে মসজিদের জায়গায় আগে একটি মন্দির ছিল। ১৫২৯ সালে মুসলিম শাসকরা মসজিদ নির্মাণের জন্য সেটি ভেঙে দিয়েছিলেন। ওই আবেদনের পর সমীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত। প্রথম সমীক্ষা হয় ১৯ নভেম্বর। তার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বাড়ছিল।
আদালতের নির্দেশে এদিন সকাল ৭টা নাগাদ আদালত-নিযুক্ত কমিশনার এবং তাঁর দলের ছয় সদস্য ফের সমীক্ষার জন্য ওই মসজিদে প্রবেশ করেন। সেখানে ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সমীক্ষার বিরোধিতায় সরব হন তাঁরা। সমীক্ষকরা মসজিদের বাইরে আসার পরই শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। পুলিশ ও সমীক্ষকদের লক্ষ্য করে তিন দিক থেকে পাথর ছুড়তে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকি গুলিও চালানো হয়। এছাড়া আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
মোরাদাবাদের বিভাগীয় কমিশনার অঞ্জনেয়াকুমার সিং বলেছেন, ‘নইম, বিলাল ও নুমান নামে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া প্রায় এক ডজন পুলিশকর্তা আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ।