গুয়াহাটিতে বিছানায় আগুনে পুড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু : শর্ট-সার্কিটের প্রমাণ নেই, পুলিশের বড় মন্তব্য

২৪ জুলাই : গুয়াহাটিতে মর্মান্তিক ঘটনা। ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে করুণ মৃত্যু ঘটেছে মা দীপশিখা চক্রবর্তী ও মেয়ে শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী।

প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল যে, শর্ট-সার্কিটের ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ জানায় যে এটি শর্ট-সার্কিটজনিত ঘটনা নয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফরেনসিক দল উপস্থিত হয়ে তদন্ত চালায়।

ঘটনাস্থলে পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘সকালে হাঁটতে যাওয়া এক ব্যক্তি পোড়া পোড়া গন্ধ পান। বাইরে থেকে ধোঁয়া দেখতে পান। ঘরের ভিতরে মানুষ ছিল। পিতৃ সুব্রত চক্রবর্তী তৎক্ষণাৎ দরজা খুলে দেখেন। প্রথমে মনে হয়েছিল তারা ঘুমিয়ে আছে এবং পরে এ ঘটনা দেখে দ্রুত মালিগাঁও রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় তৃতীয় পক্ষের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। বাবা অন্য ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন।’’

গুয়াহাটিতে বিছানায় আগুনে পুড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু : শর্ট-সার্কিটের প্রমাণ নেই, পুলিশের বড় মন্তব্য

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ‘‘বড় ধরনের আগুন লাগেনি। আমাদের সন্দেহ তারা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছি। ঘরের বিভিন্ন জায়গা থেকে আধা পোড়া সিগারেট উদ্ধার হয়েছে। শর্ট সার্কিটের কোনও প্রমাণ নেই। ঘরের পর্দাও অক্ষত আছে। এটি একটি দুর্ঘটনা।’’

গুয়াহাটিতে বিছানায় আগুনে পুড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু : শর্ট-সার্কিটের প্রমাণ নেই, পুলিশের বড় মন্তব্য

উল্লেখ্য, পরিবারটিতে মোট চারজন সদস্য ছিল। দীপশিখা ও সুব্রতের বড় মেয়ে ছিলেন শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী এবং ছোট মেয়ের নাম ছিল শ্রেয়শ্রী চক্রবর্তী। অন্যদিকে, বাড়ির অন্য ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন বাবা সুব্রত চক্রবর্তী।

শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী বেঙ্গালুরুর একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন এবং ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছিলেন। মা দীপশিখা ছিলেন সঙ্গীত শিক্ষিকা।

Spread the News
error: Content is protected !!