ভারতমালা প্রকল্প : রাস্তার কাজে নালা ভরাটে ক্ষোভ জনমনে

বরাক তরঙ্গ, ২৬ অক্টোবর : ভারত মালা প্রকল্পে রাস্তার কাজে জল নিষ্কাশনের নালা বন্ধ করায় জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত বিস্তীর্ণ এলাকাবাসী। আগে জল নিষ্কাশনের বিকল্প হিসেবে নালা তৈরি করিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। শনিবার মালুয়া শ্রীগৌরী জিপি এলাকার জগন্নাথপুর, চৈতন্যনগর, জালালপুর, উত্তর কান্দিগ্রাম, দক্ষিণ কান্দিগ্রাম, পাটিরাকান্দিসহ অত্র এলাকার বিভিন্ন গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে সাংবাদিকদের ডেকে তাদের আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন। তাঁরা বলেন, দক্ষিণ কান্দিগ্রাম থেকে জালালপুর অব্দি জাতীয় সড়কের পার্শ্বস্থ জল নিষ্কাশনের যে নালা ছিল সেটি রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। ওই নালা দিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকার জল আনগাঙ্গে গিয়ে পড়ে। এই নালা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বিকল্প কোন রাস্তা খুলে না দিয়ে। এতে অত্র অঞ্চলের গ্রামগুলো সহ ধানক্ষেতের মাঠ জলমগ্ন হবে। বৃষ্টির জল ছাড়াও ওই নালা দিয়ে বারোমাই বিভিন্ন এলাকার জল এমনকি বরাক নদীর চরের জলও জাতীয় সড়কে নির্মিত কালভার্টের মাধ্যমে ওই নালা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আনগাঙ্গে গিয়ে পড়ে।
এলাকার গ্রামবাসী শতাধিক লোক একত্রিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, কৃষি প্রধান ওই অঞ্চলের জমিগুলোতে বর্তমানে ফলনশীল ধান রয়েছে। কার্তিক মাসের পরেই আসছে অগ্রহায়ণ মাস, ধান কাটার মরসুম। জমিনে যদি জল লেগে থাকে তবে ফসল নষ্ট হবে। বর্তমান যুগে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টি হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যদি মাঝারি ধরনের নের বৃষ্টি হয় তবে কৃষদের হয়ে যাবে। কারণ নিচু অঞ্চলের জমি বৃষ্টির জলে ডুবে যাবে, ডুবে যাবে গ্রামের রাস্তাঘাট এমতাবস্থায় করিমগঞ্জের জেলা কমিশনারের কাছে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাঁরা করজুড়ে নিবেদন করেন সমস্যা নিরসনের জন্য।

জেলা কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করে তাঁরা বলেন, রাস্তা নির্মিত হোক, দেশের উন্নয়ন হোক, এটা তারা সর্বাত্মকভাবে কামনা করেন কিন্তু তার আগে এলাকাবাসীর দুর্দশা লাঘবের জন্য জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিক। জল নিষ্কাশনের বিকল্প রাস্তা তৈরি করে দিয়ে যেন জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী নালা ভরাট করা হয়। জনগণের আবেদন নিবেদনে সাড়া না দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে নালার বেশ কিছুটা অংশ ভরাট করে ফেলেছেন ফলে জল ক্রমশ জমা হতে শুরু হয়ে গেছে। এতে এই এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন, কারণ আগত দিনে বৃষ্টি হলে কৃষকের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফসল ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। অত্র এলাকার বিভিন্ন গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মাখন লাল দাস, আবু দাস, রানা দাস, সুনীল দাস কানাই দাস, রহমত আলি খাঁ, আব্দুল জব্বার, হোসেন উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন লস্কর, খলিলুর রহমান, শামসুল হক, আব্দুর রহিম, ইউনুস উদ্দিন, মিহিরকান্তি দে, অলক দে প্রমুখ সরেজমিন তদন্ত করে শীঘ্র এই সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার জন্য করিমগঞ্জের জেলা কমিশনারের কাছে দাবি জানান।
