‘অপারেশন সিন্দুর’র বীরগাথা নিয়ে প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে
বরাক তরঙ্গ, ৩০ জুলাই : গভীর দেশাত্মবোধে ভারতের সশস্ত্ৰ বাহিনীর বীরত্বের প্ৰতি শ্ৰদ্ধা জানাল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়৷ গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপিনচন্দ্র পাল মিলনায়তনে ‘অপারেশন সিন্দুর – ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাহিনি’ শীৰ্ষক এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়৷ সেইসঙ্গে উদযাপিত হয় কারগিল বিজয় দিবসও৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুদ্ধ জাদুঘর ও এনসিসি ইউনিটের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্ৰাণবন্ত অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় মিজোরামের ভাইরেংটির কাউন্টার ইনসাৰ্জেন্সি অ্যান্ড জঙ্গল ওয়ারফেয়ার (সিআইজেডব্ল্যু) স্কুল৷

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারপ্ৰাপ্ত উপাচাৰ্য অধ্যাপক অশোক সেন ভারতীয় সশস্ত্ৰ বাহিনীর সাম্প্ৰতিক সামরিক অভিযানের ওপর আলোকপাত করেন৷ অধ্যাপক সেন বলেন, আসাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও জাতীয় সেবার মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে প্ৰতিশ্ৰুতিবদ্ধ৷ সেইসঙ্গে বিকশিত ভারতের স্বপ্ন সাকার করতে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করার কাজও চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়৷ তিনি মিজোরামের সিআইজেডব্ল্যু স্কুলের কমান্ড্যান্ট ব্ৰিগেডিয়ার রোহিত যাদবকে এই অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করার জন্য ধন্যবাদ জানান৷

ব্ৰিগেডিয়ার রোহিত যাদব বক্তব্য রাখতে গিয়ে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর বর্ণিল কাহিনি তুলে ধরেন৷ কীভাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জঙ্গি শিবিরে নিৰ্ভুলভাবে হামলা চালিয়ে একশ’রও বেশি সন্ত্ৰাসবাদীকে খতম করা হয়েছে তাও বৰ্ণনা করেন৷ তিনি কৌশলগত যোগাযোগের গুরুত্ব ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সময়োপযোগী, নিয়মিত এবং তথ্যবহুল তথ্য আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তৰ্জাতিক গণমাধ্যমে প্ৰচারের মাধ্যমে শত্ৰু দেশের সৃষ্ট মিথ্যা আখ্যান কীভাবে খণ্ডন করা হয়েছে তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন৷

ব্ৰিগেডিয়ার যাদব বলেন, সামরিক অভিযান ‘সিন্দুর’ আত্মত্যাগ ও সন্ত্ৰাসবাদের প্ৰতি ভারতের শূন্য সহনশীলতার প্ৰতীক৷ তিনি জানান, ‘অপারেশন সিন্দুর’ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি পাকিস্তানের ভূমিকা উন্মোচিত করতে এবং বিশ্বের দরবারে ভারতের সামরিক-কূটনৈতিক সংকল্প স্পষ্ট করতে সফল হয়েছে৷ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিবন্ধক ড. প্ৰদোষ কিরণ নাথ, সিডিসি ডিরেক্টর জয়ন্ত ভট্টাচাৰ্য, ফিনান্স অফিসার ড. শুভদীপ ধর সহ বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, শিক্ষাৰ্থী ও এনসিসি ক্যাডেটরা৷
এনসিসি ক্যাডেট ইশার হৃদয়স্পৰ্শী বক্তৃতার মাধ্যমে কারগিলের বীরদের স্মরণ ও সশস্ত্ৰ বাহিনীর ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার নতুন অঙ্গীকারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়৷ পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ড. জয়শ্ৰী দে৷ প্ৰসঙ্গত, এ দিনের এই অনুষ্ঠানের সমন্বয়ে ছিলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয় যুদ্ধ জাদুঘরের চেয়ারম্যান ড. দীপজ্যোতি চৌধুরী ও কনভেনর অরিজিৎ গোস্বামী৷