ঘুষের প্রস্তাব আদানির! গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মার্কিন প্রশাসনের
২১ নভেম্বর : ফের পড়লেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। এবার ভারতীয় শিল্পপতির বিরুদ্ধে ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ভারতের সরকারি আধিকারিকদের প্রায় ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। ভারতীয় মূল্যে যা প্রায় ২২৩৭ কোটি টাকা। সূত্রে খবর, গৌতম আদানির ভাইপো সাগর আদানির বিরুদ্ধেও এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধেই ইতিমধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (Arrest warrants) জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন।
গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পেতে সরকারি আধিকারিকদের ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কারণ ওই প্রকল্পের বরাত পেলে আগামী ২০ বছরে ২ বিলিয়ন ডলার লাভ করা সম্ভব ছিল আদানি গোষ্ঠীর। গৌতম, তাঁর ভাইপো সাগর সহ সাতজনের বিরুদ্ধে এই ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের সিইও বিনীত জৈনও। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গৌতম ও সাগর দু’জনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আমেরিকার প্রশাসন।
নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভারতীয় সরকারি আধিকারিকদের ২৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগকারী ও ব্যাঙ্কের কাছে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে আদানি ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। তাতে প্রভাবিত হয়ে আদানিদের সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ করেছেন মার্কিন বিনিয়োগকারীরা। অঙ্কটা প্রায় ১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওই মিথ্যাচারের জোরেই সব মিলিয়ে গোটা বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার লগ্নি পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। তাছাড়া আদানি গ্রিন নামক সংস্থাও বিপুলভাবে লাভবান হয়েছে।
এই অভিযোগের জেরে মার্কিন মুলুক-সহ বিশ্বের একাধিক দেশে আদানিদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ধস নামতে পারে শেয়ার বাজারেও। সদ্যই হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের ধাক্কা সামলাতে হয়েছে আদানি গোষ্ঠীকে। এবার নয়া ধাক্কা এল খোদ মার্কিন প্রশাসনের তরফে।