স্কুল খুলতেই সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের দুই পরিচালন সমিতির লড়াই ফের চাঙ্গা

বিশ্বজিৎ আচার্য ও দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১ আগস্ট : গ্রীষ্মের বন্ধের পর স্কুল খুললেই ফের বিতর্ক তাজা হয়ে উঠে শিলচর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান — সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলে। দীর্ঘদিন ধরে চলছে জমির মালিকানা নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। এমনকি আদালতেও বিষয়টি গড়িয়েছে। তারপরও মিমাংসার কোন পথই বের হচ্ছে না। স্কুলের পড়ুয়াদের ভবিষ্যত এক হুমকির মুখে পড়েছে। শুক্রবার স্কুল খুললে দু’পক্ষই হাজির স্কুলে। নয়া পরিচালন সমিতির কর্মকর্তারা পুরাতন সমিতির ডিরেক্টর কৃষ্ণা দে লোক নিয়ে স্কুলের ভেতরে ঢুকতে চাইলে বাধা দেয়। এতে পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠে। খবর পেয়ে পৌঁছে পুলিশও। তবে পড়ুয়ারা যথারীতি স্কুলে ঢুকে পড়ে। কোন সমস্যা হয়নি তাদের।

এ দিকে, বৃহস্পতিবার অভিভাবকরা এক সভায় মিলিত হন। পুরো ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। অভিভাবকরা আশঙ্কা করে বলেন, বিদ্যালয়ের জমি পুনরুদ্ধার ও ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক স্বার্থে ব্যবহার—যার মূল্য দিতে হবে শতশত ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মচারীকে। এ দিন গার্ডিয়ান ফোরামের জরুরি সভায় উদ্বিগ্ন এক অভিভাবক বলেন, ১৯৮২ সালে প্রয়াত ইন্দুভূষণ দে-র প্রতিষ্ঠিত সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুল বরাক উপত্যকার হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলেছে। একাধিক প্রজন্মের পরিবারের আস্থা অর্জন করেছে এই প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে এর শৃঙ্খলাপূর্ণ ও উচ্চতর মানের শিক্ষার জন্য। আজ প্রতিষ্ঠাতার মহান স্বপ্ন রক্ষা না করে স্কুলকে অবস্বীকৃতি ও জমি পুনর্দখলের জন্য আইনি পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

অভিভাবকরা এও বলেন, একই আবেদনকারীদের অনুরোধে আসাম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কাউন্সিল (AHSEC)-এর অধিভুক্ত, সংলগ্ন হেমাঙ্গিনী দে মেমোরিয়াল জুনিয়র সায়েন্স কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। সভায় অভিভাবক, প্রাক্তনী ও সমাজকর্মীদের এক বড় অংশ এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে আইনত ও গণতান্ত্রিক পথে প্রতিরোধ করার শপথ নিয়েছেন।

Spread the News
error: Content is protected !!