আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে তৃতীয় স্পাইন সার্জিক্যাল ক্যাম্প
বরাক তরঙ্গ, ১৮ জুলাই : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় স্পাইন সার্জিক্যাল ক্যাম্প, যা মুম্বইয়ের দ্য স্পাইন ফাউন্ডেশন (TSF)-এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ক্যাম্প ২০ জুলাই, রবিবার সমাপ্ত হবে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএমজি হলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত স্পাইন সার্জন ও দ্য স্পাইন ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা ড. শেখর ভোঁজরাজ, TSF-এর ট্রাস্টি ও স্পাইন সার্জন ড. শীতল মোহিতে, রোজকান্দি চা-বাগানের ম্যানেজার আইবি উবাদিয়া, ড. সুমন ধর, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আলফারিদ হোসেন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. বিবেক ভার্মা।
ড. ভোঁজরাজ বলেন, “TSF ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে আমাদের ছয়জন ট্রাস্টি রয়েছেন। আমরা গত ১৮ বছর ধরে সার্জারি করে আসছি এবং আজ প্রায় দেশের প্রতিটি রাজ্যে আমাদের কার্যক্রম বিস্তৃত হয়েছে। সম্প্রতি আমরা একটি ৪০ মিনিটের তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছি, যেখানে TSF-এর কাজ ও প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই বিশিষ্ট অর্থোপেডিক সার্জন ডাঃ সুজিতকুমার নন্দী পুরকায়স্থ, ডাঃ সুমন ধর, ডাঃ বিবেক ভার্মা, আমাদের নিবেদিতপ্রাণ দল এবং পরিশ্রমী স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি। TSF বর্তমানে দেশের দ্রুততম হারে বিকাশমান ফাউন্ডেশনগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমরা আসাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিরন্তর সহায়তার জন্যও কৃতজ্ঞ।”
ড. বিবেক ভার্মা বলেন, “গত জুন মাসে আমরা ছুটির সময়টাকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়েছি। তখন আমার ড. ভোঁজরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে আমাদের জোরালো উৎসাহ দেওয়া হয়। প্রথম সার্জিক্যাল ক্যাম্পটি গত বছরের নভেম্বর মাসে, এবং দ্বিতীয়টি এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হয়। JJIMS আমাদের পুরোপুরি সহায়তা করেছে।”আই.বি. উভাডিয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং বলেন, “স্বাস্থ্যই সম্পদ।” তিনি গোটা টিমের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে এই ক্যাম্প অংশগ্রহণকারীদের উপকারে আসবে।ড. শীতল মোহিতে এই অভিজ্ঞতাকে ‘দারুণ আলোকিত’ বলে বর্ণনা করেন। ড. আলফারিদ হোসেনও TSF-এর ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার বিশ বছরের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি এত ভালো ক্যাম্প খুব কম দেখেছি।” তিনি ড. ভার্মার বিশেষ প্রশংসা করেন।
এই যৌথ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো মেরুদণ্ডজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিনামূল্যে পরামর্শ ও রোগ নির্ণয় সেবা প্রদান করা।