স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ বন্ধ করে দিল রাজ্য সরকার
বরাক তরঙ্গ, ২৭ নভেম্বর : এখন থেকে রাজ্যের শিক্ষা দফতরে চতুর্থ শ্রেণির চাকরি থাকবে না। অসম সরকারের শিক্ষা বিভাগ আর স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ করবে না। স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে বিতর্কের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার দিসপুরের জনতা ভবনে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ প্রকল্পের অধীন সরকারি ও প্রাদেশিক স্কুলের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ফি রেহাইর বিশেষ এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রণোজ পেগু। মাল্টি-টাস্কিং স্টাফদের স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির পরিবর্তে নিয়োগ করা হবে।
মাল্টি-টাস্কিং স্টাফ নিয়োগ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। পরিবর্তে, এই পদগুলিতে নিয়োগের জন্য স্কুলগুলি দায়িত্বে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থী ও বিষয়ের অনুপাত অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হবে। এখন থেকে বিষয়ের বিবরণও জমা দিতে হবে।
বিষয় অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ে নিয়োগের জন্য ন্যূনতম ১০ জন শিক্ষক প্রয়োজন। এছাড়া গণিত শিক্ষক নিয়োগ ও গণিত শিক্ষকের পদ সৃষ্টির জন্য ইতিমধ্যে চাকরির সেবা বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষা অধিদপ্তর ভবিষ্যতে চুক্তিবদ্ধ শিক্ষক নিয়োগ দেবে না। এখন থেকে শুধু নিয়মিত পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রতিটি স্কুলে TET পাস শিক্ষক থাকতে হবে। শীঘ্রই ৯ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষকদের স্থানীয় ভাষায় জ্ঞান থাকতে হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে সব স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম থাকবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভর্তি বিনামূল্যে হতে হবে এবং টিউশনের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি নেওয়া অবৈধ। শিক্ষকদের পাঠদানের জন্য সরকার বেতন দেয়। টিউশনের নামে ফি আদায়ের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে আর ফি নেওয়া হবে না। আজ জনতা ভবনে দারিদ্র্যসীমার নিচের শিক্ষার্থীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ পেগু বলেছেন, তিনি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত।
এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা মোট ১৮ কোটি টাকা আজ ডিবিটি-র মাধ্যমে রাজ্যের ১১৪৫টি সরকারি এবং বেসরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিতরণ করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির মোট ২,৫০,৮৯৯ জন শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যারা এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হয়েছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের জীবনের মঙ্গল কামনা করেন।
ডাঃ পেগু বলেন, “আমরা আশা করি মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে এই ধরনের প্রচেষ্টা সকল শিক্ষক ও ছাত্রদের সেবা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে ফলপ্রসূ হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাসচিব শ্রীনারায়ণ কনওয়ার এবং স্কুল শিক্ষা দফতরের অন্যান্য আধিকারিকরা।