ওসিকে প্রাণে মারার চেষ্টা! আটজনকে অভিযুক্ত করে মামলা পুলিশের
বরাক তরঙ্গ, ২৮ মে : ত্রিপুরার সিপাহীজেলা জেলার বক্সনগর কেন্দ্রের কলমচৌড়া থানার ওসি প্রশান্ত দে-কে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগে ৮ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ। জানা গেছে, একটি চিনি বোঝাই গাড়ির ধাক্কায় গত ২৪ মে রাত ৯ টা নাগাদ গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিলেন ব্যবসায়ী রামপ্রসাদ দেব। পরবর্তিতে তিনি আইএলএস ও জিবিপি হাসপাতালে দু’দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার সকাল সাড়ে আটটায় চিকিৎসকের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।উনার মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দায়ি করে গর্জে উঠেন স্থানীয় কিছু লোক।এরি প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে ব্যবসায়ী রামপ্রসাদ দেবের মৃতদেহ কলমচৌড়া থানার মূল ফটকের সামনে রেখে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেন কতিপয় লোক।
উল্লেখ্য, ওই ঘটনার ১ ঘন্টার মধ্যে গাড়ি চালককে গ্রেফতার করে ২৬ মে অভিযুক্তকে সোনামুড়া আদালতে সোপর্দ করেন ওসি। কিন্তু এতেও খুশি ছিলেন না মৃতের আত্মীয়স্বজন।তাঁরা থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন সহ বিয়ারের বোতল দিয়ে ওসির মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। এতে বরাত জোরে রক্ষা পান ওসি। পরে উত্তেজিত জনগণ ওসির কক্ষে প্রবেশ করে তার আসবাবপত্র ভেঙ্গে তছনছ করে দেন। পাশাপাশি নগদ কিছু অর্থ সহ একটি স্বর্ণের চেনও তারা ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তখন ওসি বাথরুমে প্রবেশ করে নিজেকে রক্ষে করেন। পরে পুলিশের বিশেষ টিম তদন্তে নেমে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

এ ঘটনায় আক্রান্ত ওসি সংবাদ মাধ্যমে জানান, মৃত রামপ্রসাদ দেবের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাহলে কলমচৌড়া থানার পুলিশের কি দোষ? কি কারনে তারা আমাকে প্রানে মারার চেষ্টা করল এটা বোধগম্য হচ্ছে না। এই কান্ডের নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে ধারনা করছেন ওসি। শেষে তিনি এ কান্ডে আট জনকে অভিযুক্ত করে সুবিচারের দাবিতে মামলা দায়ের করেন।

এতে অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে মানিকলাল দাসরঞ্জন দেব, আশিস বিশ্বাস, সুভাষ দেব, সুখেন দাস, বিকাশ ভট্টাচার্য, গোবিন্দ সূত্রধর ও প্রণব নম। বর্তমানে অভিযুক্তরা পলাতক বলে খবর পাওয়া গেছে।