পথকুকুরের মুখে দেহাংশের টুকরো দেখে সন্দেহ গ্রামবাসীর, লিভ ইন সঙ্গীকে খুন
২৮ নভেম্বর : লিভ ইন সঙ্গীকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, খুনের পর তাঁর দেহ ৪০ থেকে ৫০ টুকরো করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলায়। বুধবারই বছর পঁচিশের অভিযুক্ত নরেশ ভাঙ্গরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত ৮ নভেম্বর লিভ ইন সঙ্গীকে খুন করে ওই যুবক। খুনের আগে ধর্ষণও করে বলে অভিযোগ। এরপর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে অভিযুক্ত। জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে সেই টুকরো ফেলে এসেছিল ধৃত। যাতে পশুরা সেই মাংস খেয়ে নেয় এবং প্রমাণ লোপাট হয়ে যায়।
২৪ নভেম্বর জোরদাগ গ্রামের কাছে একটি পথকুকুরের মুখে টুকরো করা দেহাংশ দেখে গ্রামবাসীরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপরই জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে তরুণীর দেহের টুকরো উদ্ধার হয়। একটি ব্যাগও উদ্ধার হয়। তার ভিতরে থাকা আধার কার্ড থেকেই মৃতার পরিচয় জানা যায়। এরপর সূত্র ধরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃত তরুণীও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। অভিযুক্তের সঙ্গে তামিলনাড়ুতে তাঁর পরিচয় হয়। কয়েক বছর ধরে তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে ছিল। সম্প্রতি ওই যুবক ঝাড়খণ্ডে ফেরেন এবং অন্য এক যুবতীকে বিয়ে করেন। কিছুদিন পর আবার তামিলনাড়ুতে ফিরে যান এবং লিভ ইন সঙ্গীকে কিছু না জানিয়ে তাঁর সঙ্গেই থাকতে শুরু করে। তবে সত্যিটা বেশিদিন চাপা থাকেনি। বিষয়টি জানতে পেরেই ঝাড়খণ্ডে ফিরে আসে ওই তরুণী। অভিযুক্ত যুবকও সঙ্গে আসে
এরপর নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে অভিযুক্ত ওই তরুণীকে জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। এরপর গলার ওড়না পেঁচিয়ে তরুণীকে খুন করে। এরপর মাংস কাটার ছুরি দিয়ে তরুণীর দেহের ৪০–৫০ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তামিলনাড়ুতে মুরগির মাংসের দোকানে কসাই হিসাবে কাজ করত। পুলিশের দাবি, জেরায় লিভ ইন সঙ্গীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত।