বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়নি, ছাত্রীকে টুকরো টুকরো শিক্ষকের, গ্রেফতার

১৮ সেপ্টেম্বর : বিয়ের জন্য সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে চাপ দিচ্ছিলেন শিক্ষক। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীকে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ ২০টা টুকরো করল শিক্ষক। তারপর সেই দেহাংশ ফেলা হয় জলে। এমন অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠল পশ্চিমবঙ্গের রামপুরহাটে। ২০ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হয় ছাত্রীর পচাগলা দেহাংশ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে স্কুলেরই ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক মনোজকুমার পাল। বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রধানশিক্ষককে ঘেরাও করেন উত্তেজিত জনতা। তাঁকে ধরে টানা হিঁচড়া করতে থাকেন। উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কী কারণে নৃশংসভাবে খুন করা হল ওই ছাত্রীকে? অভিযোগ, বিয়ের জন্যই নাকি সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে চাপ দিচ্ছিলেন শিক্ষক। বারবার তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ। কিন্তু বিয়ে করতে রাজি হয়নি ওই ছাত্রী। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই খুন, এমনটাই অনুমান করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে তেমনটা জানা গিয়েছে।

বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়নি, ছাত্রীকে টুকরো টুকরো শিক্ষকের, গ্রেফতার

গ্রামের এক বাসিন্দা বলছেন, “আমাদের গ্রামের ছেলেমেয়েরা এখন অনেকেই মুখ খুলছে। ওরা বলছে, ওই ছাত্রীকে যাতায়াতের পথে বারবার আটকাত ওই স্যার। অন্য কোনও ছেলের সঙ্গে কথা বলতে দিত না। বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। বলেছিল, বড় হও, তোমাকেই বিয়ে করব। কিন্তু ২৮ তারিখ যে মনোজ স্যারই নিয়ে পালিয়েছিল, সেটা বুঝতে পারিনি।”

বুধবার রাতভোর ওই শিক্ষককে জেরা করেছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ আগস্ট  টিউশন পড়তে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী। পরিবারের পক্ষ থেকে রামপুরহাট থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার গভীর রাতে রামপুরহাট থানার কালীডাঙা গ্রামের কাছে জলাজমি থেকে তার পচা গলা মৃত দেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ।

Spread the News
error: Content is protected !!