আগরতলা বিমানবন্দরে বাধার মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ, ধরনা

বরাক তরঙ্গ, ৮ অক্টোবর : আগরতলার কার্যালয়ে পৌঁছে বিমানবন্দরে বাধা প্রসঙ্গে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বললেন, ‘ত্রিপুরার নেতারা তো বাংলায় গিয়ে ঘোরেন, বিয়ে বাড়িও যান। কোথাও বাধা পান না। তাহলে আমাদের সঙ্গে কেন এরকম? আমাদের এত ভয়?’ তৃনমূল  কংগ্রেসের কার্যালয়ে আক্রমণের পর  বুধবার ত্রিপুরায় পৌঁছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক প্রতিনিধি দল। দুপুরে আগরতলা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাঁদের নিতে আসা চারটি গাড়ির মধ্যে তিনটি গাড়িকেই ফিরিয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিমানবন্দরের বাইরেই ধরনায় বসেছেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত কুণাল ঘোষ বলেন, প্রশাসনের এই আচরণ পূর্ণরূপে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিজেপির প্ররোচনায় ঘটানো হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের শাসক দল বিজেপির অঙ্গুলিহেলনেই প্রশাসন এই ধরনের অসহযোগিতা করছে, যাতে বিরোধী দল কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে না পারে। কেন্দ্রের “গভর্নেন্স মডেল” আসলে বিরোধী কণ্ঠর দমন এবং গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ এই ঘটনা তারই প্রতিফলন। তাঁর দাবি, এভাবে তৃনমুল কংগ্রেসকে আটকানো সম্ভব হবে না। তাঁরা পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থলে যাবেন বলে জানালেন তিনি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, শাসকদলের মদতেই এই ধরণের সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ চলছে, যেখানে বিরোধী দলের দফতর ভাঙচুর, কর্মীদের উপর আক্রমণ এবং এলাকায় ভয়ভীতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা কোনওরকম ভয় বা চাপে মাথা নত করব না। যাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছেন, তাঁদের আমরা চিহ্নিত করব এবং জনগণের সামনে সত্যি তুলে ধরব। আমরা আমাদের ত্রিপুরার কর্মীদের পাশে আছি এবং থাকব।
ছিলেন দুই সাংসদ সুস্মিতা দেব ও সায়নী ঘোষ সহ অন্যান্যরা।

Spread the News
error: Content is protected !!