কিশোরীর অঙ্গে নতুন জীবন পেলেন তিন রোগী, মৃতাকে ‘গার্ড অফ অনার’ সিএমআরআই-এর
৭ এপ্রিল : কিশোরীর অঙ্গে নতুন জীবন পেলেন তিন রোগী। শুক্রবার চিকিৎসকেরা ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন কিশোরীকে। অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল থাকায় কিশোরীর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা। শনিবার কিশোরীর সেই অঙ্গ তিন রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন হয়েছে।
কলকাতায় ফের মরণোত্তর অঙ্গদান। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত ছিল খড়দহের বাসিন্দা ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরী। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর ভেন্টরিকুলার ব্রেন টিউমার ছিল। এর জন্য তার চিকিৎসাও চলছিল। গত ২৮ মার্চ কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকেরা তাঁকে ভর্তি করেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরবর্তীতে মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সিএমআরআই হাসপাতালে। সেখানে কিশোরীর মৃত্যু হয়। শুক্রবার চিকিৎসকেরা তার ব্রেন ডেথের কথা ঘোষণা করেন। এরপর চিকিৎসকেরা কিশোরীর পরিবারকে মরণোত্তর অঙ্গদানের প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেয় পরিবারের লোকেরা। এরপর শুরু হয় অঙ্গদানের প্রক্রিয়া।
কিশোরীর হৃৎপিণ্ড এবং দু’টি কিডনি অন্যের শরীরে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। শনিবার বিকেল থেকেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গ্রহীতার কাছে। কিশোরীর হৃদপিণ্ড মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের এক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। একটি কিডনি কমান্ড হাসপাতালকে এবং দ্বিতীয় কিডনি মুকুন্দপুরের মণিপাল হাসপাতালের রোগীদের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য উপযুক্ত ছিল, কিন্তু ফুসফুস ভালো ছিল না। কিন্তু, উপযুক্ত গ্রহীতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, এবছর এটিই বাংলায় তৃতীয় মৃত ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান। সিএমআরআই হাসপাতাল তরুণীকে ‘গার্ড অফ অনার’ দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কিশোরীকে আশার আলো এবং মানবজাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল।
