বোর্ড গঠন অনিশ্চিত : বিধায়ক কমলাক্ষের ছায়ায় কুশিয়ারকুল ও লক্ষীপুরে অনিশ্চয়তার সুর

অনিতা পাল, কাটিগড়া।
বরাক তরঙ্গ, ২৬ জুন : কাছাড় জেলার কাটিগড়া বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কুশিয়ারকুল ও লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। পঞ্চায়েত সদস্যদের অভ্যন্তরীণ মতভেদ, সভাপতি পদে একাধিক দাবিদার এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যের অনুপস্থিতি—এই সমস্ত কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। এই অনিশ্চয়তার মূলে উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের পরোক্ষে প্রভাব রয়েছে বলেই এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত। বিশেষত কুশিয়ারকুল জপপ দুই বিজেপি ঘনিষ্ঠ নির্দল প্রার্থী—প্রীতম পাল ও বাবলু দাস সভাপতি পদের দাবিদার হন। এদিকে প্রীতম পাল সহ মোট চারজন জিপি সদস্য কালাইন ব্লক কার্যালয়ে বিডিও-র উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ করলেও, বাবলু দাস ও আরও দুই-তিনজন সদস্য কার্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও বিডিও-র সামনে না যাওয়ায় শপথ অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ফলে গঠন হয়নি বোর্ড।

অন্যদিকে, লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও একই রকম রাজনৈতিক টানাপোড়েন দেখা যায়। শাসকদলের নেতারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও, দলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবং শক্তি প্রদর্শনের লড়াই বোর্ড গঠনের পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

জানা গেছে, উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বাবলু দাসকে নিয়ে বিজেপি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে বসেন। তবে সভাপতি পদে নিজের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ বুঝতে পেরে তিনি বৈঠক ত্যাগ করেন এবং সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি না হয়ে স্থান ত্যাগ করেন।

বোর্ড গঠন অনিশ্চিত : বিধায়ক কমলাক্ষের ছায়ায় কুশিয়ারকুল ও লক্ষীপুরে অনিশ্চয়তার সুর

এই অবস্থায় দুইটি পঞ্চায়েতেই প্রশাসনিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ এবং পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজের ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে। আগামী দিনে শাসক শিবির কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং এই রাজনৈতিক জট কবে খুলবে, সেদিকেই নজর এলাকার জনসাধারণের। বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক কমলাক্ষবাবুর কোনও প্রতিক্রিয়া নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Author

Spread the News