ভুয়ো চিকিৎসকের হাতে প্রাণ গেল মা ও নবজাতকের, ওড়িশায় চাঞ্চল্য
২৬ আগস্ট : চিকিৎসার ডিগ্রি নেই, অথচ তিনিই করালেন প্রসব। আর এই কাণ্ড করতে গিয়ে এক প্রসূতি ও তাঁর সদ্যোজাতর মৃত্যু হল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওড়িশার গঞ্জাম জেলায়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মঙ্গলু চরণ প্রধানকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে দিঘাপাহাড়ি থানার পুলিশ। এছাড়াও, গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই সহকারী নার্স-মিডওয়াইফ (এএনএম) মধুস্মিতা পট্টনায়ক ও প্রমোদিনি গামাঙ্গোকেও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গঞ্জাম জেলার দেঙ্গাউস্তা গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গলু চরণ প্রধান কোনও প্রকার চিকিৎসা ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও নিজের নার্সিংহোমে নিয়মিত ডেলিভারির কাজ চালাতেন। গত ১১ মে কোরাখান্ডি জেলার বাসিন্দা রোজি নায়েক প্রসব যন্ত্রণায় তাঁর নার্সিংহোমে ভর্তি হন। রোজির পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আধুনিক চিকিৎসার সমস্ত সুবিধা থাকার আশ্বাস দিয়েছিল। ঘণ্টা চারেক যন্ত্রণার পর রোজির প্রসব করানো হয়। তবে সদ্যোজাত সন্তান জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায়।
এরপর রোজির অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার পর রোজির স্বামী বাবু নায়েক দিঘাপাহাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ এবং রবিবার মঙ্গলু প্রধানকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রসবের সময় কোনও রেজিস্টার্ড চিকিৎসক সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
গঞ্জাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুরো বিষয়টি চিকিৎসায় গাফিলতি ও বেআইনি চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই ঘটনার পর স্থানীয় স্তরে ভুয়ো চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকেও তদন্ত শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
খবর : দৈনিক স্টেটসম্যান বাংলা।