গ্রিন ফিল্ড এয়ারপোর্ট : চুক্তির শর্ত গুলি অবিলম্বে পূরণ করা সহ বিভিন্ন দাবিতে ধরনা শ্রমিকদের

বরাক তরঙ্গ, ৬ মার্চ : গ্রিন ফিল্ড এয়ারপোর্টের জমি অধিগ্রহণের সময় স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত গুলি অবিলম্বে পূরণ করা সহ বিভিন্ন দাবিতে এবার ধরনা দিল ডলুবাগানের অফিসের সামনে অখিল ভারতীয় চা মজদুর সংঘের উদ্যোগে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক। সোমবার দুই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর বাগান ম্যানেজারের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে দাবি গুলো তুলে ধরে স্মারকলিপি প্রদান করেন। দাবিগুলির অন্যতম, গ্রিন ফিল্ড এয়ারপোর্ট নির্মাণের জন্য আর কোন জমি অধিগ্রহণ অথবা উচ্ছেদ না করা, দীর্ঘ দিন ধরেই বাগানের অধিবাসীদের জমির পাট্টা প্রদান, সরকার নির্মিত কমিটির প্রস্তাবিত ন্যুনতম মজুরি ৬৬১/- টাকা ঘোষণা করা এবং এয়ারপোর্টের জমি অধিগ্রহণের সময় স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত গুলি অবিলম্বে পূরণ করা ইত্যাদি।

গ্রিন ফিল্ড এয়ারপোর্ট : চুক্তির শর্ত গুলি অবিলম্বে পূরণ করা সহ বিভিন্ন দাবিতে ধরনা শ্রমিকদের

সুপ্রিয় ভট্টাচার্য সহ নেতারা বলেন, এয়ারপোর্ট নির্মাণের জন্য পুনরায় ডলুবাগানের জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এয়ারপোর্ট নির্মাণের জন্য আরও ১৭০ একর জমির প্রয়োজন। আগে অধিগৃহিত জমির ১২৯ একর ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ১৭৩ টি বাড়ি ভাঙা হবে। এদের অন্যত্র বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। মূলত লালবাগ বিস্তীর্ণ অঞ্চল এবং ডলুর টিলা লাইনের একাংশ অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।জেলাশাসকের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল লালবাগে শ্রমিকদের সঙ্গে সভা করেন। কিন্ত শ্রমিকরা আপত্তি জানান।

গ্রিন ফিল্ড এয়ারপোর্ট : চুক্তির শর্ত গুলি অবিলম্বে পূরণ করা সহ বিভিন্ন দাবিতে ধরনা শ্রমিকদের

সিটুর অন্তর্ভুক্ত অখিল ভারতীয় চা মজদুর সংঘ বাগানের শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি পর্যালোচনা করেন। আগের অধিগ্রহণের ফলে বাগানের উৎপাদন ৫৬শতাংশ কমে গেছে, পুনরায় জমি অধিগ্রহণের ফলে উৎপাদন আরও কমবে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নুতন চা গাছ রোপন সঠিক ভাবে হচ্ছে না। সুতরাং শ্রমিক ছাঁটাই অবধারিত। ডলুবাগানের ধ্বংসের পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। সুতরাং ডলুবাগানের বৃহত্তম স্বীকৃত সংগঠন অখিল ভারতীয় চা মজদুর সংঘ এর তীব্র বিরোধিতা করেছে। এ দিন বিক্ষোভ চলাকালে সিটুর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সুরজিৎ ঘোষ, সমীরণ আচার্য, সুপ্রিয় ভট্টাচার্য, ত্রিদিব পাল, সিআরইউ-র পক্ষে রাজেশ সরকার, সারস্বত মালাকার, এবিসিএমএসের পক্ষে মনিশ কর্মকার, গোপাল ভুমিজ, চন্দ্রদেব পাশি, মহিলা সমিতির পক্ষে রত্না দেব প্রমুখ। এছাড়াও বিএমএস ও আইএনটিইউসির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Author

Spread the News