মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দলের

বরাক তরঙ্গ, ১৬ ফেব্রুয়ারি : রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্ৰাহকদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রীর কাৰ্যালয়ে অল অসম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন  চারজনের এক প্রতিনিধি দলের গুরুত্বপূৰ্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয় বৈঠক। উল্লেখ্য, বিদ্যুতের বৰ্ধিত মাশুল ও প্ৰিপেড স্মাৰ্ট মিটার প্ৰত্যাহার করা সহ অন্যান্য দাবীতে গত ২৯ ডিসেম্বর তিন লক্ষাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহকদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকপত্র সেদিন গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত  গণসমাবেশ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্ৰীর কাছে প্ৰেরণ করা হয়। এরই পরিপ্ৰেক্ষিতে শক্তিমন্ত্ৰীর আমন্ত্রণ ক্রমে গতকালের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে শক্তি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকৰ্ষণ করে বলা হয় যে, এপিডিসিএল ১৭ আগষ্ট, ২০২১ সনের কেন্দ্ৰীয় সরকারের গেজেট নোটিফিকেশন সম্পূৰ্ণ উলঙ্ঘন করে স্মাৰ্ট মিটার প্রতিস্থাপন করছে। কেন্দ্ৰীয় সরকারের অধিসূচনায় সমস্ত সরকারি কাৰ্যালয়, বৃহৎ উদ্যোগ ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে প্ৰিপেইড স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের সময়সীমা ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ধার্য করা হয়। কিন্তু তা না করে এপিডিসিএল সাধারণ মানুষের ঘরে, দোকানে  প্ৰিপেড স্মাৰ্ট মিটার স্থাপন করছে।

আলোচনাতে বিদ্যুৎ (উপভোক্তা অধিকার) বিধি,২০২০ এর অধীনে রাজ্য, জেলা, মণ্ডল, উপমণ্ডল পর্যায়ে গ্রাহকদের অভিযোগ নিষ্পত্তির ফোরাম না থাকার বিষয়টি গ্ৰাহক সমিতির প্ৰতিনিধিরা উত্থাপন করেন। এই অভিযোগ যে সত্য তা বৈঠকে উপস্থিত এপিডিসিএল এর আধিকারিকরা স্বীকার করে বলেন যে, অভিযোগ নিষ্পত্তির ফোরাম শুধু জেলা পৰ্যায়ে রয়েছে। আগামীতে সমস্ত পৰ্যায়ে তা গড়ে তোলা হবে। বৈঠকে এপিডিসিএল’র উচ্চ পর্যায়ের দুৰ্নীতি ও অধিক পরিমাণে অসাধু উপায়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের থেকে পেনাল্টি আদায় না করার বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়।

এছাড়াও কিছু চা বাগান ও শিল্পোদ্যোগে সিটি/পিটি কাজ না করার অজুহাতে উপযুক্ত মিটার না বসিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে এপিডিসিএল’র যে লোকসান হচ্ছে এবং সেই লোকসানের বোঝা শেষ পৰ্যন্ত সাধারণ মানুষের কাধে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাও গ্ৰাহক সমিতির পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হয়। শেষে শক্তি মন্ত্ৰী বৈঠকে উত্থাপিত গ্ৰাহক সমিতির সবক’টি বিষয় সম্পৰ্কে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্ৰদান করেন।

Author

Spread the News