বাড়িতে গিয়ে জুবিনের প্রতি শ্রদ্ধা ও গরিমাকে সমবেদনা জানালেন প্রদীপ সহ প্রতিনিধি দল

বরাক তরঙ্গ, ১২ অক্টোবর : জনপ্রিয় ও মানবিক শিল্পী জুবিন গর্গের অকাল প্রয়াণে অসম তথা সমগ্র দেশের সঙ্গে বরাক উপত্যকার জনগন এখনও শোকস্তব্ধ হয়ে রয়েছেন। রবিবার বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের এক প্রতিনিধি দল গুয়াহাটিতে প্রয়াত শিল্পীর বাসভবনে উপস্থিত হয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা এবং তার স্ত্রী গরিমা শইকিয়া গর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করলেন।

এদিন প্রয়াত শিল্পীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তাঁর স্ত্রীর হাতে একটি শোকপত্র তুলে দেন বিডিএফ এর প্রতিনিধিরা। এই শোক পত্রে তাঁরা উল্লেখ করেছেন যে শিল্পীর এই অকাল প্রয়াণ অসম তথা সারা দেশের সাথে বরাক উপত্যকার জনগণকেও নাড়িয়ে দিয়েছে। এবারের পুজোয় প্রায় প্রতিটি মন্ডপে জুবিন গর্গের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদিত হয়েছে। গানে গানে প্রয়াত শিল্পীকে স্মরণ করেছেন সমস্ত বরাক বাসী। তাঁরা এও উল্লেখ করেছেন যে রাজনৈতিক প্ররোচনাতে ব্রহ্মপুত্র এবং বরাক উপত্যকার মধ্যে যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছিল তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে প্রয়াত শিল্পী অনেক যুগ পর সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে দিয়ে গেছেন। তাঁরা লিখেছেন যে এই শোকগ্রস্ত কঠিন মুহূর্তে আপামর জুবিন অনুরাগীদের সাথে তাঁরাও মানসিক ভাবে শিল্পীর স্ত্রীর সাথে রয়েছেন এবং তার সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।

বাড়িতে গিয়ে জুবিনের প্রতি শ্রদ্ধা ও গরিমাকে সমবেদনা জানালেন প্রদীপ সহ প্রতিনিধি দল

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, জুবিনের ছাত্রজীবনের একাংশ করিমগঞ্জ জেলায় কেটেছে। তিনি বরাকের স্থানীয় ভাষা ও বাংলায় সাবলীল ছিলেন। নিজেকে অর্ধেক বাঙালি অর্ধেক অসমিয়া বলতেন। তাঁর অসংখ্য অসমিয়া ও বাংলা গান বরাকে জনপ্রিয় ছিল। এসবের জন্য বরাক বাসীও তাঁর এই অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। তাই বরাক বাসীর পক্ষ থেকে  শিল্পীর স্ত্রীর সাথে দেখা করে তাঁরা একটি শোকপত্র তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন। প্রদীপ দত্তরায়  বলেন, প্রয়াত শিল্পীর মৃত্যু রহস্য যাতে রাজনীতির গোলকধাঁধায় হারিয়ে না যায়,যাতে প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হয় এজন্য তাঁরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, শিল্পী জুবিন গর্গ জাতধর্মের বিভাজনে বিশ্বাস করতেন না। সব বিভেদের উর্ধ্বে দাঁড়িয়ে তিনি মানুষের সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের কথা বলে গেছেন। তাই জাতি ধর্মের ব্যাবধান ভুলে রাজ্যের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকাই হবে প্রয়াত শিল্পীর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি। কোন রাজনৈতিক প্ররোচনাতে প্রভাবিত না হয়ে প্রয়াত শিল্পীর আদর্শকে জাতিধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে আপন করে নেবার জন্য এদিন রাজ্যবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে বিডিএফ আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে এবং নীলাঞ্জনা চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।

Spread the News
error: Content is protected !!