পর্নোগ্রাফিক সাইটে পহেলগাঁও হামলায় মৃত বায়ুসেনার স্ত্রীর মুখ, গ্রেফতার বাবা-ছেলে

৯ জুন : সাঙ্ঘাতিক ঘটনা! পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বায়ুসেনার মেজর বিনয় নারওয়ালের স্ত্রী হিমাংশির মুখ বিকৃতি করে ইউটিউবে ভুয়ো পর্নোগ্রাফিক সাইটে আপলোড করা হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে এমন অপরাধের ঘটনায় অভিযুক্ত হলেন বাবা-ছেলের জুটি। যাঁদের বিহারের গোপালগঞ্জ পুলিশের সহায়তায়, মাঞ্জা থানা এলাকার ধোবওয়ালিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে গুরুগ্রাম সাইবার পুলিশের দল।

বর্তমানে AI-কাজে লাগিয়ে জঘন্য থেকে জঘন্যতম অপরাধ করেছে অপরাধীরা। তার মধ্যে বিনয় নার ওয়ালের স্ত্রীর মুখ বিকৃতি করার ঘটনাও রয়েছে। গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ মানুষ। যাদের ঘটনার বিষয়ে এক্কেবারে অবগত ছিল না। ছয়জন দুষ্কৃতী পহেলগাঁও-তে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। তাতেই মারা ১ পণি চালক-সহ ২৬ জন পর্যটক। যার মধ্যে বিনয় নারওয়ালও ছিলেন।

যিনি কাশ্মীরে হানিমুনে গিয়েছিলেন। মৃত্যুর ৬ দিন আগে তাঁদের নিয়ে হয়। হামলার পর বিনয় নারওয়ালকে ধরে তাঁর স্ত্রীর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। সেটাকেই কব্জা করে এবার বিনয়ের স্ত্রীর মুখ বিকৃতি করল অপরাধীরা। এবং পর্নোগ্রাফি ভিডিওতে বিনয়ের স্ত্রীর মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃত বাবার নাম মহিবুল হক এবং ছেলের নাম গুলাব জিলানি। দুজনের বিরুদ্ধেই ‘SS REAL POINT’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে শহীদের স্ত্রীর মুখ বিকৃত করে একটি ভিডিও আপলোড করার অভিযোগ রয়েছে। এই ভিডিওটি নিয়ে হরিয়ানার গুরুগ্রাম সাইবার পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপরেই গুরুগ্রাম সাইবার পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে। বর্তমানে হরিয়ানা পুলিশ উভয় অভিযুক্তকে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করেছে এবং রিমান্ড প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর তাদের হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পর্নোগ্রাফিক সাইটে পহেলগাঁও হামলায় মৃত বায়ুসেনার স্ত্রীর মুখ, গ্রেফতার বাবা-ছেলে

জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্তরা আরও অনেক ভিডিও তৈরি করেছে এবং শেয়ার করেছে। তাঁরা আরও মানুষকে টার্গেট করেছে। পুলিশ এখন ডিজিটাল ফরেনসিক তদন্তের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক এবং অভিযুক্তের অন্যান্য সহযোগীদের খুঁজছে। পুলিশের সন্দেহ, এই মামলায় আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে এবং এটি একটি সংগঠিত সাইবার অপরাধ চক্রের অংশ হতে পারে। এই বিষয়ে গোপালগঞ্জ পুলিশ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, প্রযুক্তিগত প্রমাণের ভিত্তিতে, তাঁদের ইউটিউব চ্যানেলটি ট্র্যাক করা হয়েছিল এবং তারপরে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়েছে। এবং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই মামলায় গ্রেফতারের পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছ। এআই-এর অপব্যবহার করে কীভাবে শহীদ পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে আলোচনা চলছে।
খবর : এই মুহূর্তে।

Spread the News
error: Content is protected !!