প্রতিবাদের মৃত্যু! অধ্যাপকের হাতে নির্যাতিত ছাত্রীর মৃত্যু

১৫ জুলাই : প্রতিবাদের মৃত্যু। এটাই হয় তো হওয়ার ছিল। তিন দিনের জীবন-মরণের লড়াই। অবশেষে সোমবার রাতে ভুবনেশ্বর এমসেই মৃত্যু হল ওড়িশার নির্যাতিতার।

ভুবনেশ্বর এমস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয়েছে সেই নির্যাতিতার। বলে ভাল রাখা ভাল, এই দিনই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আর সেই দিন রাতেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ওই নির্যাতিতা।

উল্লেখ্য, গত পয়লা জুলাই নিজের বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা অভিযোগ তুলেছিলেন এই ছাত্রী। সেই মর্মে লিখিত ভাবে নিজের অভিযোগ কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগগ্রহণ কমিটির কাছে জমা দিয়েছিলেন তিনি। সেই অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছিলেন, কীভাবে মাসের পর মাস তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগই সাড়। বিভাগীয় প্রধান বলে কথা। কোনও ভ্রূক্ষেপই করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। যার প্রতিবাদে নিজের সহপাঠীদের নিয়ে বিক্ষোভে নামেন নির্যাতিতা। কিন্তু অন্ধের শহরে আলোর কি কাজ?

প্রতিবাদেও কারওর কিছু এসে যায় না। গত শনিবার কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর অধ্যক্ষের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ক্যাম্পাসে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন নির্যাতিতা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন এক ছাত্রও। দু’জনকেই তড়িঘড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তখনই জানিয়ে দেন, বাঁচানো কতটা সম্ভব হবে, সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ, ৯৫ শতাংশ দেহ পুড়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে শনিবারই তাঁকে ভুবনেশ্বর এমসে স্থানান্তর করা হয়। এরপর মঙ্গলবার শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করল সে।
খবর : tv9 Bangla.

প্রতিবাদের মৃত্যু! অধ্যাপকের হাতে নির্যাতিত ছাত্রীর মৃত্যু
Spread the News
error: Content is protected !!