বিচারপতির ঘরে টাকা মেলেনি, বিতর্কের মাঝেই জানালেন দমকল বাহিনীর প্রধান

২২ মার্চ : দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা বাংলোতে আগুন নেভানোর সময় দমকল কর্মীরা কোনও নগদ অর্থ খুঁজে পায়নি। পাহাড় প্রমাণ বিতর্কের মাঝেই সাফ জানিয়ে দিলেন দিল্লি দমকল বাহিনীর প্রধান অতুল গর্গ।

দমকল বাহিনীর প্রধান অতুল সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ১৪ মার্চ রাত ১১.৩৫ মিনিটে বিচারপতি ভার্মার বাংলোতে আগুন লাগার খবর মেলে। সঙ্গে সঙ্গেই দু’টি দমকলের ইঞ্জিন নিয়ে কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। রাত ১১.৪৩ মিনিটে দমকল কর্মীরা আগিন নেভানোর কাজ শুরু করেন। অতুল গর্গের কথায়, আগুন বিচারপতির বাংলোর স্টোর রুমে লেগেছিল। সেখানে স্টেশনারি এবং গৃহস্থালীর জিনিসপত্র মজুদ ছিল এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫ মিনিট সময় লেগেছিল। ওই ঘটনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তাঁর দাবি, “আগুন নেভানোর পরপরই, আমরা পুলিশকে আগুনের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করি। এরপর, দমকল বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। আমাদের দমকলকর্মীরা তাদের অগ্নিনির্বাপণ অভিযানের সময় কোনও নগদ অর্থ খুঁজে পায়নি।” 

বিচারপতির বাংলো থেকে নগদ অর্থ উদ্ধারের ঘটনায় বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। সারা দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছে। শুক্রবার জানাজানি হয় যে, বিচারপতির সরকারি বাংলোর একটি ঘরে বিপুল নগদ টাকার সন্ধান মিলেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, নেতা-মন্ত্রীদের বাড়িতে ইডি, সিবিআই হানা দিলে যেমন ঘর ভর্তি নোটের বান্ডিল মেলে বিচারপতির বাড়িতেও তেমনই বিপুল অর্থ মিলেছে। যার নজির প্রায় নেই বললেই চলে।

বিচারপতির নাম যশবন্ত ভার্মার দিল্লির বাংলোয় মঙ্গলবার সকালে আগুন লাগে। দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ভিতরে ঢুকে অনুসন্ধানে নামে কোথাও আগুনের অস্তিত্ব আছে কি না। দেখা যায়, বাড়ির ভিতরের একটি ঘর বন্ধ। সেই ঘরেও আগুন লেগেছে কিনা বুঝতে সেটি ভাঙা হয়। দেখা যায়, ঘরের মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত থরে থরে টাকার বান্ডিল সাজানো!

বিচারপতির ঘরে টাকা মেলেনি, বিতর্কের মাঝেই জানালেন দমকল বাহিনীর প্রধান

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়িতে বিপুল অর্থ মেলার বিষয়টি পুলিশ দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নজরে আনে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে বিষয়টি জানান। দেশের প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের কলেজিয়ামের বৈঠক ডাকেন। কারণ, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ, বদলি এবং চাকরি জীবনের সব কিছু বিষয়ে কলেজিয়ামই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

বিচারপতির ঘরে টাকা মেলেনি, বিতর্কের মাঝেই জানালেন দমকল বাহিনীর প্রধান

কলেজিয়াম তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিচারপতি ভার্মাকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলির আদেশ দেয়। কিন্তু বিচার বিভাগের লোকজন বদলিকে সাজা বলে মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, বিচারপতি ভার্মাকে পদত্যাগ করতে বলা হোক। তিনি রাজি না হলে তাঁর বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেস রুজু করে সাসপেন্ড করা হোক। তারপর সংসদে ইম্পিচ করে তাঁকে চাকরি থেকে সরানো হোক।
খবর : আজকাল ডট ইন।

Spread the News
error: Content is protected !!