বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বাবা ও ছেলের করুণ মৃত্যু, বিভাগকে দায়ী করে মামলা

বরাক তরঙ্গ, ৬ জুন :  হৃদয়বিদারক ঘটনা! বাবা ও চার বছরের শিশুসন্তানের করুণ মৃত্যু ঘটল। ঘটনাটি ঘটেছে শিলকুড়ি ধরমখাল এলাকায়। মর্মান্তিক ঘটনার জন্য স্থানীয় জনগণ বিদ্যুৎ বিভাগের চরম গাফিলতিকে দায়ী করছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জানা যায়, শিলকুড়ি ধরমখাল এলাকার পবন মালার বাড়িতে গত দুই বছর আগে বৈদ্যুতিক লাইন কাটা হয় কিন্তু সম্পূর্ণভাবে লাইন না কাটার কারণে বিদ্যুতবাহী তার শুক্রবার সকালে ছিঁড়ে পড়লে এ মর্মান্তিক ঘটনাটি সংঘটিত হয়। প্রাণ হারালেন  পবনকুমার মালা ও তার চার বছরের শিশু ভিকি মালা।

পবনের বড় ভাই জানান, একটি গাছে বাধা ছিল মিটার। বিদ্যুতের তারটি ফুল গাছ ঘেঁষে পড়লে সকালে প্রথমে পবনের স্ত্রী ও মেয়ে বিদ্যুতের ছোবলে পড়েন। তারা ফুল তুললে গিয়েছিলেন। এরপর শিশুটি খেলতে খেলতে গাছের নিচে চলে গেলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে পবনও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এরপর প্রতিবেশী এক যুবক এসে বাঁশ দিয়ে তার সরিয়ে দুজনকে মেডিক্যাল নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাসার বৈদ্যুতিক লাইনে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা ছিল, যা বিদ্যুৎ বিভাগকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  সকালে বাসার সামনের বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে তার ছিড়ে পড়ে এবং এই মর্মান্তিক ঘটনা হয়। এ সময় বাসায় থাকা পবনকুমার মালা (৩৮) আর তার চার বছরের ছেলে ভিকির সংস্পর্শে এলে মৃত্যু হয়।

প্রতিবেশী বিজয় কুমার মালা বলেন, “আমরা অনেকবার বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করেছিলাম। তারা কেবল আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু কোনও কাজ করেনি। এই দুর্ঘটনা তাদের অবহেলারই ফল। মরদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিদ্যুৎ বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

পবনের পুরো ঘটনার সুবিচার চেয়ে ঘুংগুর পুলিশ ফাঁড়িতে মামলা দায়ের করেন।