পাথারকান্দিতে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ! মাকে খুন করে পুঁতে রাখল ছেলে, ধৃত ২
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ ফেব্রুয়ারি : নৃশংস কাণ্ড, পাথারকান্দি থানার অন্তর্গত পুতনি চা-বাগানে। জন্মদাত্রীকে হত্যা করে মাটির নিচে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক পাষাণ পুত্রের বিরুদ্ধে। টানা ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় ওই বৃদ্ধার নিথর দেহ। ঘটনায় অভিযুক্ত রঘুনাথ চৌহান ও তার সহযোগী মধু নাহককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার পাথারকান্দির সার্কল অফিসার বলীনবাবা বালারির উপস্থিতিতে পাথারকান্দি থানার পুলিশ ও কাঠাঁলতলি ওয়াচ পোস্টের পুলিশ সহ আধাসামরিক বাহিনীর সহযোগে চা-বাগানের নির্দিষ্ট জায়গায় মাটি খুঁড়ে লক্ষ্মী চৌহানের দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা গেছে, ১৮ দিন আগে লক্ষ্মী চৌহান (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা নিখোঁজ হন। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, তিনি আত্মীয়ের বাড়িতে গেছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন তাঁর দেখা ও কোনও খোঁজ না মেলায় সন্দেহ দানা বাধে আশপাশের মানুষের। পরে গ্রামের লোকজন যখন তাঁর ছেলে রঘুনাথ চৌহানের কাছে জানতে চান, তখন সে বিভ্রান্তিকর উত্তর দিতে থাকে কখনও বলে মা ভূবরিঘাটে গেছেন, আবার কখনও বলে ত্রিপুরায়। এভাবে দিনের পর দিন গড়িয়ে যায়। এতে সন্দেহ বাড়তেই থাকে লোকজনের মনে।
সোমবার বিকেলে স্থানীয়রা রঘুনাথকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে চাপে পড়ে অবশেষে স্বীকার করে হত্যার কথা। মায়ের গলা টিপে হত্যা করেছে বলে জানায়। এবং হত্যার পর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে মরদেহ পুঁতে দেয়, আর এই কাজে তাকে সহযোগিতা করে মধু নাহক নামে এক ব্যক্তি। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানার পর স্থানীয় জিপির প্রাক্তন সভানেত্রীর তথা বিজেপি নেত্রী নমিতা চাষা গোয়ালা দ্রুত পাথারকান্দি থানায় খবর দেন। এমন খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পাথারকান্দি থানার ওসি পুলিশ নিয়ে এসে ঘাতক পুত্রকে সহ এই হত্যা কাণ্ডের জড়িত সহযোগী অপর ব্যক্তিকেও আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো চা-বাগান এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
