স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের তিরোধান দিবস সাড়ম্বরে পালন বারাসতে

৪ এপ্রিল : দু’দিন ব্যাপী সমগ্ৰ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা শঙ্কর মঠ ও মিশনের পরমহংস১০৮ শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১৯ তম তিরোধান দিবস পালন সনাতন ধর্মীয় নীতি ও নিয়মের সহিত সাড়ম্ভড়ে পালন করা হয়। কলকাতার বারাসাত শঙ্কর মঠ ও মিশনে পরমংস স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১৯ তম তিরোধান দিবস পালন করা হয় বিভিন্ন সনাতন ধর্মীয় কার্যসূচির মধ্য দিয়ে,১ এপ্রিল বৈদিক মন্ত্র পাঠ, গৈরিক পতাকা উত্তোলন ও অখণ্ড প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে দুই দিন অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন শঙ্কর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। পরবর্তী সময়ে  মহা রুদ্র অভিষেক,বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা ও স্বাস্থ্যশিবির, শত কন্ঠে গীতা পাঠ, গীতা পাঠ প্রতিযোগিতা ও যোগাসন প্রতিযোগিতা, সনাতন ধর্মসভা, সমবেদ প্রার্থনা, নৃত্য-নাট্য ও ভজন সঙ্গীত পরিবেশন। পরদিন তথা ২ এপ্রিল বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ, দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, সমবেত প্রার্থনা, লীলা কীর্তন সহ আরো ধর্মীয় অনুষ্ঠান।

সনাতন ধর্ম সম্মেলন তথা বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞের প্রধান পুরোহিত ও আন্তর্জাতিক গীতা প্রচার সংস্থার অধ্যক্ষ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ  আজীবন ত্যাগের মন্ত্র নিয়ে দেশ ও বিদেশে গীতা প্রচারের কাজ করেছেন এমন কি বাংলাদেশের বর্তমানেও তাঁর প্রতিষ্ঠিত অনেক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনেক মানব সেবার কাজ চলছে এবং দেশ ও বিদেশে অনেকসেবা মুলক কাজে উনার শিষ্য ও ভক্তরা বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে নিয়োজিত আছেন তিনি আজীবন গীতাপাঠ, গীতা যজ্ঞ,গীতা প্রচারের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করেছেন, মানবজাতির আধ্যাত্বিক  ও মানসিক বিকাশের জন্য কাজ করে গেছেন। স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের আদর্শ ও ধর্মীয় নীতি মেনে চলছেন এই শঙ্কর মঠ ও মিশনের সাধু-সন্তরা। শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ বলেন, ধর্ম চেতনা ও ধর্মবোধ মানুষকে সত্য সনাতন সুন্দরের পথে পরিচালিত করার ফলে সমাজ থেকে অন্যায়-অনাচার দূরীভূত হয়। ধর্মবোধ মানুষকে ন্যায়ের শিক্ষা দিয়ে সভ্য করেছে। নিষ্কাম কর্ম ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে উত্তরণের জন্য মনুষ্যত্বের সাধনা করাই হলো গীতা শিক্ষা। তাই গীতার আদর্শ ও উদ্দেশ্য বুকে ধারণ করতে পারলে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ হবে।

স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের তিরোধান দিবস সাড়ম্বরে পালন বারাসতে

তিনি আরও বলেন, বিশ্বজনীন ধর্মগ্রন্থ শ্রীশ্রীমদ্ভগবত গীতার কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তি মানুষকে বিভিন্ন অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। মঠ-মন্দির শুধু ধর্ম চর্চার সাধনা করে না, মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি ও সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।আধ্যাত্বিক জীবন চর্চার মহাতীর্থপীঠ শঙ্কর মঠ ও মিশন। এ মঠে বসে সুদীর্ঘ ৮০ বছর বসে শ্রীমদ্ভগবত গীতা প্রচারের মাধমে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে নিরলস সাধনা করেছেন যোগাচার্য্য পরমহংস স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ।এই দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় উপস্থিত ছিলেন আমেরিকা থেকে স্বামী পরমানন্দ সরস্বতী মহারাজ ব্রহ্মচারী মুরাল ভাই, অঘোরাত্মানন্দ মহারাজ, বন্ধু গৌরব ব্রহ্মচারী, প্রকাশানন্দ মহারাজ, প্রজ্ঞানন্দ মহারাজ, রাজীবানন্দ, প্রকাশানন্দ মহারাজ, মানিক মহারাজ  আচার্য  অনঘানন্দ পুরী মহারাজ, মিহিরানন্দ মহারাজ, স্বপ্রকাশানন্দ মহারাজ, নিবারন মহারাজ, সেবানন্দ মহারাজ সহ দেশ- বিদেশ থেকে আগত সাধু-সন্তরা। এ খবরটি প্রেস বার্তায় জানিয়েছেন কলকাতা থেকে শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ  বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ।

Author

Spread the News